সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় লিগের নাম পরিবর্তিত হয়ে আই লিগ হওয়ার পর সে ট্রফি ইস্টবেঙ্গলের ঘরে ওঠেনি। যদিও ১৪ বছরের খরা কাটাতে এবার প্রথম থেকে কোমর বেঁধে আসরে নেমেছিলেন ক্লাব কর্তারা। ফর্মে থাকা ফুটবলারদের নিয়ে ঘর গোছানো থেকে আই লিগ জয়ী কোচকে দায়িত্ব দেওয়া, সবই করেছিলেন। বিশেষ পরামর্শদাতা হিসেবেও ডেকে নেওয়া হয়েছিল লাল-হলুদের প্রাক্তন কিংবদন্তিদের। কিন্তু ফলাফল শূন্য। আই লিগের দুই ডার্বিতেই চিরশত্রু মোহনবাগানের কাছে হারতে হয়েছে। আর মঙ্গলবার ডু অর ডাই ম্যাচে মিনার্ভার কাছে আটকে গিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে আরও পিছিয়ে গেল দল। ফলে যা হওয়ার তাই হল। সমর্থকদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল ফের। উঠল ‘গো ব্যাক খালিদ’ স্লোগান।
যুবভারতীতে ফিরতি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের জঘন্য পারফরম্যান্সের পর কোচ ও ফুটবলারদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সমর্থকরা। যার জেরে ছেঁটে ফেলা হয় উইলিস প্লাজাকে। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকার চুক্তি থাকায় খালিদ জামিলকে তখনই সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ডুডু, ক্রোমা যোগ দেওয়ার পরও ইস্টবেঙ্গলের ছন্দ ফেরেনি। এদিন কাটসুমির পেনাল্টি হাতছাড়া না হলে মূল্যবান তিনটে পয়েন্ট পেতে পারত দল। কিন্তু তেমনটা হল না। উলটে এক ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষে থাকা মিনার্ভার সঙ্গে ৬ পয়েন্টের ব্যবধানেই রইল লাল-হলুদ ব্রিগেড। আর এতেই আই লিগ জয়ের স্বপ্নে জোর ধাক্কা খেল দল। এমন অবস্থায় যে সমর্থকরা ছেড়ে কথা বলবেন না, সেটাই ছিল স্বাভাবিক। ম্যাচ শেষ হতেই ইস্টবেঙ্গলের ড্রেসিংরুম ঘেরাও করে লাল-হলুদ ভক্তরা। ‘গো ব্যাক খালিদ‘ স্লোগান ওঠে। প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে চলে বিক্ষোভ।
শুধু তাই নয়, সমর্থকদের অভিযোগ, ম্যাচ চলাকালীন তাঁদের গ্যালারির দিকে ইট ছোড়ে কয়েকজন দর্শক। তাতেই সেই আগুনে ঘি পড়ে। ম্যাচ শেষে সমর্থকদের সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যে বেশ খানিকক্ষণ বারাসত স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরতেই পারেননি এডু-কাটসুমি-ডুডুরা। পরে পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হলে বারাসত ছাড়েন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.