ফাইল ছবি
ইস্টবেঙ্গল: ০
মোহনবাগান: ০
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতায় নয়, চলতি মরশুমের প্রথম ডার্বির আসর বসেছে শিলিগুড়িতে। বলে না দিলে ব্যাপারটা বোঝার উপায় নেই। একেতেই ছুটির দিন। তার উপর ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ। রবিবাসরীয় কাঞ্চনজঙ্ঘায় প্রিয় খেলাকে ঘিরে যেন উৎসবে মেতেছিলেন ফুটবলপ্রেমী বাঙালিরা। দিনের শেষে হাসি মুখে মাঠ ছাড়লেন দুই দলের সমর্থকরাই।
ডার্বিতে গোল হজম না করতে হলে সোনিকে ঘিরে রাখতে হবে। মর্গ্যানের এমন স্ট্র্যাটেজি মাঠে স্পষ্ট ফুটে উঠল। দ্বিতীয়ার্ধে হাইতিয়ান স্ট্রাইকারকে মার্ক করে রাখলেন গুরবিন্দর, পুজারীরা। তা সত্ত্বেও প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন নর্ডি। তাঁর ক্রস থেকে সৌভিকের নিশ্চিত গোলের শট অবশ্য আটকে দিতে সফল হন রেহনেশ। বড় ম্যাচ নিয়ে ফুটবলারদের মধ্যে একটা চাপা টেনশন থাকেই। প্রথমার্ধে দু’টি দলকেই তেমনই চরম টেনশনে দেখাল। যার প্রভাব পড়ল স্কোরবোর্ডেও। দু’টি দলই অজস্র মিস পাস করল। খানিকটা চিন্তা দূর করে ২০ মিনিটের পর থেকে একটু খুলে খেলল বাগান। তবে প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ সেভাবে কাজ করল না। অভিজ্ঞ মেহতাবকেও চাপমুক্ত বলে মনে হল না। দ্বিতীয়ার্ধে দানা বাঁধল লাল-হলুদের মাঝমাঠ। অনেক বেশি উইং ব্যবহার করল দল। প্রথমার্ধে যদি বাগানকে এগিয়ে রাখা হয়, তবে দ্বিতীয়ার্ধ নিঃসন্দেহে ছিল ইস্টবেঙ্গলের।
প্রথমবার ডার্বির উত্তাপের আঁচ গায়ে নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন লাল-হলুদের নতুন বিদেশি প্লাজা। এদিন নায়ক হয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ওয়ান ইস্টু ওয়ান পজিশন থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হলেন। এমন সুযোগ হাতছাড়া করার পর আজ রাতে হয়তো তিনি ঘুমোতে পারবেন না। এদিকে, জেজেকে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী মনে হল না। ওঁকে তুলে অন্য কাউকে নামানো যেতই। সোনিকে আরও একটু উঠিয়ে মাঝে খেলিয়ে কাটসুমিকে আরও বাঁ-দিকে খেলালে হয়তো ভাল করতেন কোচ সঞ্জয়। তার উপর গোল না হওয়া সত্ত্বেও সোনিকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটাও সঠিক বলে মেনে নিতে পারলাম না। এদিকে, বড় ম্যাচে মাঠ একটা বড় ভূমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে শিলিগুড়ির মাঠকে লেটার মার্কস দেওয়া যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে, সবুজ ঘাসে জল বেশি পড়ায় ফুটবলাররা স্লিপ করলেন বেশি।
তবে দুই দলেরই জেতার আকাঙ্ক্ষা কম বলে মনে হল। ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়েই যেন মাঠে নেমেছিলেন ফুটবলাররা। বড় ম্যাচে কোনও দলই এদিন চ্যাম্পিয়নের মতো খেলল না। কিন্তু এমন জনজোয়ার আর শব্দব্রহ্মের মধ্যে একমাত্র এই দু’টি দলই খেলতে পারে। তাই এই দুই দলের মধ্যেই যে একটি দল আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে, তা বলা যেতেই পারে।
মরশুমের বড় ম্যাচ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.