সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবে ম্যাচ শেষ হয়েছে। আইজলের কাছে পয়েন্ট নষ্ট করে হতাশ ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার থেকে কোচ খালিদ, সকলেই। আর তারই মধ্যে উত্তাল হয়ে উঠল রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম। আইজল সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল ইস্টবেঙ্গলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে।
তাঁর হাত ধরে অজানা এক পাহাড়ি ক্লাব রাতারাতি শিরোনামে উঠে এসেছিল। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, বেঙ্গালুরু এফসি’র মতো হাই-প্রোফাইল দলকে টেক্কা দিয়ে আইজলকে প্রথমবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন খালিদ জামিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই কোচ ইস্টবেঙ্গলের লোভনীয় অফার পেয়ে চলে এসেছেন সমতলে। শুধু তাই নয়, নিজের ইচ্ছা মতো আইজল দল থেকে নিয়ে গিয়েছেন একঝাঁক ফুটবলারও। কোচ একাই পলকের মধ্যে পালটে দিয়েছিলেন সব সমীকরণ। তাই খালিদের হাত ধরে ফের ভারতসেরা হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আইজলের। যাঁকে দেশের সেরা কোচের তকমা দিয়ে মাথায় তুলে রেখেছিলেন পাহাড়ি সমর্থকরা, তিনি রাতারাতি হয়ে উঠেছিলেন শত্রু। তাই মনের মধ্যে রাগটা তখন থেকেই ছিল আইজল ভক্তদের। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটল মঙ্গলবারের ম্যাচ শেষে।
এদিন গ্যালারিতে আইজল সমর্থকরা যে প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন, তাতেই তাঁদের ক্ষোভ স্পষ্ট। সেখানে লেখা, “খালিদ জামিল, আপনি একজন বিশ্বাসঘাতক। কবে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন?” এখানেই শেষ নয়, গোলশূন্যভাবে ম্যাচ শেষ হতেই দু’দলের সমর্থকরা বচসা ও কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। এমনকী ইস্টবেঙ্গলের ড্রেসিংরুমের সামনেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইজল ফ্যানরা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর হয়ে ওঠে যে প্রায় এক ঘণ্টা ড্রেসিংরুমে আটকে পড়েন অর্ণব-প্লাজারা। সূত্রের খবর, ম্যাচের নিরাপত্তার দায়িত্বে স্টেডিয়ামে মাত্র জনা পঞ্চাশেক পুলিশ মোতায়েন ছিল। যার ফলে এমন গরম পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম আইজলে গিয়েছেন কোচ খালিদ। আর তাঁকে নিয়ে যে পরিবেশ উত্তপ্ত সে ইঙ্গিত সোমবারই সাংবাদিক সম্মেলনে দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে এও বলেছিলেন, “আমি আইজল ছাড়িনি। আইজল আমায় ছেড়েছে।” কিন্তু এদিন আইজল সমর্থকদের ব্যানারেই স্পষ্ট, খালিদের এমন দাবি তাঁরা মেনে নিচ্ছেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.