Advertisement
Advertisement

সোনির শেষ মুহূর্তের গোলে মিনার্ভাকে হারিয়ে দিল মোহনবাগান

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন তাঁকেই বাগানের পরিত্রাতা বলা হয় বুঝিয়ে দিলেন সোনি নর্ডি। মিনার্ভার বিরুদ্ধে আই লিগে শনিবারের ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র ৬ মিনিট আগে গোল করে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দিলেন নর্ডি। সোনির গোল ছাড়া এদিনের ম্যাচে বলার মতো তেমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। দুই দলই আগাগোড়া বিরক্তিকর, একঘেয়ে ফুটবল খেলে গেল।আরও পড়ুন:ভিডিও দেখেই […]

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 15, 2017 3:55 pm
  • Updated:July 13, 2018 3:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন তাঁকেই বাগানের পরিত্রাতা বলা হয় বুঝিয়ে দিলেন সোনি নর্ডি। মিনার্ভার বিরুদ্ধে আই লিগে শনিবারের ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র ৬ মিনিট আগে গোল করে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দিলেন নর্ডি। সোনির গোল ছাড়া এদিনের ম্যাচে বলার মতো তেমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। দুই দলই আগাগোড়া বিরক্তিকর, একঘেয়ে ফুটবল খেলে গেল।

এদিন প্রথমার্ধে খেলা গোলশূন্য থাকে। মোহনবাগান দলে এদিন দুটি পরিবর্তন করা হয়। শিলং ম্যাচের পর এদিন জেজে লালপেখলুয়া ও পিন্টু মাহাতো দলে জায়গা পান। অন্যদিকে, তিলক ময়দানে আইজল এফসি শনিবার ৩-১ গোলে চার্চিল ব্রাদার্সকে হারিয়েছে। বাগান ও আইজল-দুই দলই ৩৩ পয়েন্ট পেলেও আই লিগের শীর্ষে চলে গেল মোহনবাগান।

ডার্বিতে দুরন্ত জয়ের শিলং লাজংয়ের কাছে আটকে গিয়েছিল দল৷ তাই মিনার্ভার বিরুদ্ধে জয়টা ছিল অত্যন্ত জরুরি৷ কিন্তু লুধিয়ানা যাওয়া ইস্তক একের পর এক সমস্যায় পড়েছে মোহনবাগান৷ দুপুর বারোটায় কাঠফাটা রোদের মধ্যে প্র্যাকটিস করতে বাধ্য হয়েছিলেন সঞ্জয় সেনের ছেলেরা৷ ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সোনিদের নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছিল সঞ্জয়কে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি বাগান কোচ৷ উগরে দিয়েছিলেন ক্ষোভ৷ কিন্তু বুঝেছিলেন, লিগের এমন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছে মেজাজ হারিয়ে লাভ নেই৷ মাথা ঠান্ডা করেই মিনার্ভার বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পকেটে পুরতে হবে৷

প্রথম থেকেই ডাফি ও সোনি নর্ডিকে ঘিরে রেখেছিলেন মিনার্ভা ডিফেন্ডাররা। বাগান ফরোয়ার্ড লাইনের প্রতি খেলোয়াড়পিছু অন্তত তিনজন করে মার্কার রেখেছিল মিনার্ভা। তবে এদিনের মাঠে ঘাসের দৈর্ঘ্য ও জল দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। তবে প্রথমার্ধের খেলায় বলার মতো কিছুই হয়নি। প্রথম ১৫ মিনিট পর্যন্ত দুই দলের গোলকিপাররা কার্যত ক্যাচ প্র্যাকটিস করেছিলেন। ২০ মিনিটে ফ্রি কিকের সুযোগ পেলেও এডুয়ার্ডোর শট মিনার্ভার গোলকিপার আর্শদীপ আটকে দেন। মাঝমাঠ পেরোলেও মিনার্ভার বক্সের ভিতর পাঞ্জাবের ডিফেন্ডারদের সঙ্গে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না বাগান খেলোয়াড়রা। ২৩ মিনিটে সোনির শট অফসাইড বলে ঘোষণা করা হয়। ২৫ মিনিটে পিন্টু দাসের জায়গায় নামেন প্রবীর দাস। ৩৬ মিনিটে ডাফির জোরাল শট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন জেজে। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার মাত্র ২ মিনিট আগে হলুদ কার্ড দেখেন বাগানের শেহনাজ সিং।

দ্বিতীয়ার্ধে ৫০ মিনিটের মাথায় আলোর অভাবে খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে। খেলা শুরু হলে ৬২ মিনিটের মাথায় সোনি সুযোগ পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হন। ৬৪ মিনিটের মাথায় প্রবীরের জায়গায় নামেন বলবন্ত সিং। দ্বিতীয়ার্ধে বাগানের আক্রমণে খানিকটা গতি এলেও গোলের মুখ খুলতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল বাগান ফরোয়ার্ড। ৭২ মিনিটে কাটসুমিও সুযোগ পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার ঠিক ১০ মিনিট আগে নর্ডির কর্নার শট গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হন ডাফি। সবাই যখন ধরেই নিচ্ছিলেন, এদিনের ম্যাচ ড্র হবে, ঠিক তখনই সোনি মাথা ঠান্ডা রেখে গোল করে গেলেন। এদিনের ম্যাচ জিতে ৩৩ পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকায় শীর্ষে বাগান। তবে সোনি এদিন হলুদ কার্ড দেখেছেন। এদিন ৩০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে মাঠে নেমেছিল বাগান৷ ধারে ও ভারে আনকোরা মিনার্ভার থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল গঙ্গাপারের ক্লাব৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement