নিজস্ব চিত্র
সোম রায়, গুয়াহাটি: সকলেই বলছেন লড়াইটা অসম৷ অনেকের ধারণা, মোহনবাগানের মতো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীর সামনে দুর্বল দল আইজল৷ ফুটবল বিশেষজ্ঞরা অনেক আগেই ফেভারিট হিসাবে ধরে নিয়েছেন মোহনবাগানকেই৷ ঠিক এখানেই যাবতীয় ভয় সঞ্জয় সেনের৷ তিনি জানেন, ফেডারেশন কাপ ফাইনালটা তাঁর কাছে পেনাল্টি মারার মতো৷ পেনাল্টিতে যেমন গোল করলে বাহবা নেই, ব্যর্থ হলেই শুরু হয়ে যায় যাবতীয় সমালোচনা৷ ঠিক তেমনই আইজলকে হারাতে পারলে তেমন কৃতিত্ব হয়তো জুটবে না সঞ্জয় সেনের কপালে৷ আবার উল্টোটা ঘটলে সকলেই তখন হা রে রে করে তেড়ে আসবেন তাঁর দিকে৷ তাই যাবতীয় টেনশন মাথায় নিয়ে আজ ১৪ তম ফেড কাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে নামবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড৷
প্রচারের অভাবে ৩৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী ফেডারেশন কাপের ফাইনাল নিয়ে সাধারণ মানুষের তেমন কৌতূহল চোখে পড়ছে না৷ তবে, টুর্নামেন্টের ঐতিহ্য বা ভবিষ্যৎ যাই হোক না কেন, দু’টো দল কিন্তু শেষ হাসি হাসতে মরিয়া৷ দলকে উৎসাহ দিতে ইতিমধ্যেই গুয়াহাটি পৌঁছে গিয়েছেন ক্লাবের সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোসও৷ স্থানীয় ফুটবল মহলে কান পাতলে শোনা যাবে আজকের ফাইনালকে ডেভিড-গোলিয়াথের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে৷ মোহনবাগানের সঙ্গে যেমন ফেডারেশন কাপের ইতিহাস সুদীর্ঘ৷ ঠিক বিপরীত ছবি আইজলের৷ যারা এই প্রথমবার মূল পর্বে খেলতে নেমে ফাইনালে পৌঁছেছে৷
মোহনবাগান সবদিক দিয়ে এগিয়ে৷ ফরোয়ার্ড লাইন এতটাই শক্তিশালী যে, ভারতবর্ষের যে কোনও দলকে তারা হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে৷ সঞ্জয় সেন আজ প্রথম একাদশকেই মাঠে নামাতে পারবেন৷ যেখানে আইজলের প্রধান ডিফেন্ডার কার্ড সমস্যার জন্য খেলতে পারবেন না৷ কোচ জহর দাস চেষ্টা করবে ৫-৪-১ ছকে খেলে নিজেদের রক্ষণকে জমাট বাঁধাতে৷ কিন্তু মোহনবাগানের মুহুর্মুহু আক্রমণের সামনে কি ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারবে বিপক্ষের রক্ষণ? সন্দেহ আছে৷ তবে ভয় খানিকটা থেকেই যায়৷ পচা শামুকে না পা কাটে!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.