আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র – ১ (ব্র্যাডি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার সন্ধের নায়ক যদি হন অ্যান্টোনি গ্রিজম্যান, তাহলে নিঃসন্দেহে দলকে পরিচালনার জন্য সেরার পুরস্কারটা জিতে নিলেন দিদিয়ের দেশঁ। অভিজ্ঞতা আর মগজাস্ত্রের জোরে কীভাবে ম্যাচের রং পাল্টে দিতে হয়, তা বুঝিয়ে দিলেন ফ্রান্সের কোচ। প্রথমার্ধের খেলা দেখে অঘটনের আঁচ করতে করতে আঙুলের নখ খেতে শুরু করে দিয়েছিলেন ফ্রান্স সমর্থকরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সেই সব সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিলেন গ্রিজম্যান। আইরিশদের জালে দু’বার বল জড়ালেন। মূলত তাঁর সৌজন্যেই ইউরোর শেষ আটে পৌঁছে গেল কবিতার দেশ।
গ্রুপ শীর্ষে থেকেই নক-আউটে পৌঁছেছিল ফ্রান্স। চলতি ইউরোয় ফেভরিটদের মধ্যে রয়েছে হোম টিমও। এদিনের খেলাতে সেই ছাপই রাখল তারা।বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। বিরতিতে কোচের ভোকাল টনিক ও স্ট্র্যাটেজির হালকা পরিবর্তনেই বাজিমাত করলেন দেশঁর ছেলেরা। রোমানিয়ার বিরুদ্ধে যে একাদশ জয় এনে দিয়েছিল, তাঁদেরই ফিরিয়ে আনলেন কোচ। গ্রিজম্যান, জিরু ও পায়েতকে সামনে রেখে ৪-৩-৩ ছকে দল নামান তিনি। প্রথমার্ধে ফরাসিদের মাঝমাঠ সেভাবে জমাট বাঁধল না। এরিয়াল পাস আর মিস পাসে বেশ ছন্নছাড়া দেখাচ্ছিল দলকে। তার উপর শুরুতেই গোল হজম করে ফেলায় নিজেদের গুছিয়ে নিতে বেশ খানিকটা সময় লেগে গেল পোগবা, পায়েতদের। ম্যাচের বয়স তখন ২ মিনিট। পেনাল্টি থেকে গোল করে আয়ারল্যান্ডকে এগিয়ে দিলেন ব্র্যাডি। পরের ৪৩ মিনিটে একাধিকবার গোল করার সুযোগ পেয়েও শক্তিশালী আইরিশ রক্ষণের কাছে হার মানতে হয় ফরাসিদের।
দ্বিতীয়ার্ধে এক অন্য ফ্রান্সকে দেখা গেল। যারা গতিময় ও অ্যাটাকিং ফুটবল খেলতে ভালবাসে। তিন মিনিটের ব্যবধানে দু’টো গোল করে দলকে জয়ের সরণিতে এনে দিলেন ফরাসি স্ট্রাইকার। একটুর জন্য হ্যাটট্রিকটা হাতছাড়া হল ঠিকই। তবে ততক্ষণে ফল যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ৬৫ মিনিটে গ্রিজম্যানকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন শেন ডাফি। ১০ জনের আয়ারল্যান্ড তারপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তবে প্রশংসা করতে হয় আইরিশ গোলরক্ষক র্যানডল্ফের। তাঁর দুরন্ত সেভগুলোর জন্য বেশি গোল হজম করতে হল না আয়ারল্যান্ডকে। সোমবার শেষ ষোলোয় আইসল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যে যে দল জিতবে, আগামী রবিবার তাদের বিরুদ্ধে শেষ আটের লড়াইয়ে নামবে ফ্রান্স।