সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস্টারস্ট্রোক দিয়েই শেষ করলেন নিজের দীর্ঘ ক্রিকেট কেরিয়ার। আর বিদায়ী ম্যাচের পরই মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভ, অভিমান উগরে দিলেন গৌতম গম্ভীর। সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁর কেরিয়ার নানা দিক থেকে অসম্পূর্ণই থেকে গেল। যার জন্য দায়ী ভারতীয় ক্রিকেটের ‘হাস্যকর’ সিস্টেম।
শনিবারই অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে রনজি ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন দিল্লির ব্যাটসম্যান। সে ম্যাচে নামার আগেই গম্ভীর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আর এবার ভারতীয় ক্রিকেটের সিস্টেমকে একহাত নিলেন তিনি। গম্ভীর বলেন, “আমি ধোয়া তুলসি পাতা নই ঠিকই। তবে এখানকার সিস্টেমও অত্যন্ত হাস্যকর। বরাবরই সোজা সাপটা কথা বলতে পছন্দ করি। আর তারই খেসারত দিতে হয়েছে আমাকে। সেই কারণেই কেরিয়ারটা অসম্পূর্ণ থেকে গেল।”
২০১১ বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঝলসে উঠেছিল তাঁর ব্যাট। টিম ইন্ডিয়ার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে ছিলেন অন্যতম কারিগর। কিন্তু ২০১৬ সালের পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে আর দেখা যায়নি গম্ভীরকে। তাঁকে টপকে গিয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। কোহলির বিরাট উত্থানে অধরাই থেকে গিয়েছিল তাঁর অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্ন। এরপর নির্বাচকদের সিদ্ধান্তে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। যে কারণে বিরাটের সঙ্গে অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি হয় গম্ভীরের। ভারতীয় ড্রেসিংরুমের সেসব পর্বের কথা ভালই জানেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে গম্ভীর সেসব নিয়ে কখনও মন্তব্য করেননি। বাইশ গজকে বিদায় জানানোর পর অবশেষে সিস্টেম নিয়ে মুখ খুললেন।
গম্ভীরের কথায়, “আমি ভুল কিছু মেনে নিতে পারি না। মেকি বিষয়গুলি আমাকে বড্ড বিরক্ত করে। অনেকে আমায় বলেছে, কিছু ক্ষেত্রে আমার নিরপেক্ষ থাকাই হয়তো ভাল ছিল। কিন্তু তেমনটা আমি নই। নিঃসন্দেহে এ কারণে আমার অনেক শত্রু আছে, কিন্তু রাতে অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারি।” তবে কি গম্ভীরকে ভুল বোঝাবুঝির শিকার? বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের উত্তর, “একবার নয়। একাধিকবার আমায় ভুল বুঝেছে অনেকে। মিডিয়ার সামনে যখন বলেছি, দলের মতোই একজন অধিনায়ককেও একইরকম দক্ষ হতে হয়। অনেকে ভেবেছে আমি ধোনির সমালোচনা করছি। এই বিষয়গুলি আমার কেরিয়ারে প্রভাব ফেলেছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.