সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজে উঠে এসেছেন খুব গরিব পরিবার থেকে। ছোটবেলার প্রতিটা দিন কেটেছে কঠিন লড়াইয়ে। তার মধ্যেও চালিয়ে গিয়েছেন ফুটবল খেলা। আজ দেশে যে গুটিকয়েক ফুটবল বিশ্বকাপার আছেন, তাঁদের মধ্যে একজন ব্যান্ডেলের অভিজিৎ সরকার (Abhijit Sarkar)। একটা সময় ছিল যখন অভিজিৎ নিজেই দুবেলা খাবার পেতেন না, সেই অভিজিৎ এখন কিছুটা প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠা নিজের অতীত ভুলতে দেয়নি অভিজিৎকে। জানেন, কঠিন সময় এবং দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াইটা কত কঠিন।
করোনা প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। একপ্রকার আকস্মিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত দেশের গরিব খেটে খাওয়া মানুষদের বেশ সমসস্যায় ফেলেছে। অনেকেরই ঘরে হয়তো খাদ্যসামগ্রী মজুত নেই। এই বিপদের দিনে আর্তের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন জুনিয়র ফুটবলার অভিজিৎ। হুগলির হেমন্ত বসু সরণি, শাহাগঞ্জ ও ব্যান্ডেলের বিভিন্ন জায়গার গরিব ও দুঃস্থ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন তিনি। এই মরশুমে ইস্টবেঙ্গলে ছিলেন অভিজিৎ। মারাত্মক যে পেমেন্ট পেয়েছেন এরকমও নয়। কিন্তু তাঁর অনেক সিনিয়র ফুটবলার যা করতে পারেননি, এদিন সেটাই করে দেখালেন তিনি। নিজের টাকায় চাল, ডাল ও আলু কিনে ব্যান্ডেলের দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করলেন। জুনিয়র ফুটবলারের এই উদ্যোগ দেখে সকলেই প্রশংসা করেন।
অভিজিৎ একা নন। দারিদ্রের মধ্যে বড় হওয়া অনেক ফুটবলারই নিজের সাধ্যমতো দান করছেন করোনা তহবিলে। মোহনবাগান তথা এটিকে-তে খেলা প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal), প্রবীর (Prabir Das) দাসরা ৫০ হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। একই পরিমাণ টাকা দিচ্ছেন প্রণয় হালদারও। এঁরা প্রত্যেকেই একটা সময় কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। নিজেদের ভাল সময়ে সাহায্য করছেন অন্যদের। সেই সঙ্গে তাঁরা ‘প্লেয়ার্স ফর হিমিউনিটি’ গ্রুপে অর্থ দান করার জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়া ভবানীপুরের কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি দু’দিনের বেতন দান করবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.