ফাইল ফটো
স্টাফ রিপোর্টার: বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলের। দেশ ছাড়ার সময় বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টার ম্যানেজার জোস লুইস যখন একরাশ অভিযোগ আনছেন কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসির বিরুদ্ধে, ঠিক তখনই কোয়েসের পক্ষ থেকে পালটা বিবৃতিও দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপারের দেশ ছাড়ার মুখেও বিতর্ক তাড়া করছে লাল-হলুদ শিবিরকে।
ইস্টবেঙ্গল ট্রেনার কার্লোস বৃহস্পতিবার মুম্বই হয়ে দেশে যাওয়ার পথে ছিলেন মুম্বইয়ের হোটেলে। অথচ অ্যাকোস্টা (Johny Acosta) কোস্টারিকার দূতাবাসে। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জনির ম্যানেজার। তিনি বলেন, “চুক্তিমতো কিছুই দেয়নি ইস্টবেঙ্গল। বেতন কেটে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ফেরার বিমান ভাড়া, দিল্লিতে থাকার হোটেলের খরচ কিছুই দেওয়া হয়নি। এমনকী যে ফ্ল্যাটে জনি ছিলেন, সেখান থেকেও বের করে দেওয়া হয়।” ফলে বিশ্বকাপার ডিফেন্ডারের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে ক্লাবের বিরুদ্ধে ফিফায় যাওয়ারও হুমকি দেন ম্যানেজার।
এদিকে লুইসের অভিযোগ পেয়ে রাতেই কোয়েসের পক্ষ থেকে মেল করে জানিয়ে দেওয়া হয়, চুক্তিমতো জনির দেশে ফেরার বিমান ভাড়া-সহ হোটেল ভাড়াও কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসির (East Bengal) তরফে মিটিয়ে দেওয়া হবে। তবে কেউ চুক্তির বাইরে গিয়ে আর্থিক সুবিধা চাইলে তা দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে জনির ম্যানেজারের যুক্তিবিহীন কথার তীব্র প্রতিবাদও করেছে কোয়েস। লাল-হলুদের প্রাক্তন ইনভেস্টরের তরফে জানানো হয়, মে মাসেই জনিকে বন্দেভারত বিমানে কোস্টারিকা চলে যেতে বলা হয়। অথচ তিনি যেতে রাজি হননি। তখন বিমানভাড়া ছিল আনুমানিক ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এখন ক্লাবকে না জানিয়ে নিজের মতো ব্যবস্থা করে ১৫ জুন শহর ছাড়েন জনি। বিমান ভাড়া বাবদ দেখানো হয়েছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
আর এখানেই আপত্তি কোয়েসের। বাজেট অনুযায়ী যা বিমানভাড়া ছিল, তাই দেওয়া হবে। এমনকী শনিবারের বিমান ধরার আগে জনি যদি দূতাবাস ছেড়ে দিল্লিতে হোটেলে থাকে, সেই ভাড়াও চুক্তিমতো দেবে কোয়েস। যদিও জনি এ ব্যাপারে কিছুই জানাননি। আর বেতনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মে মাসের বেতন কাউকেই দেওয়া হয়নি। যাঁরা সম্মতি পত্রে সই করেছেন, তাঁদের এপ্রিল মাসের বেতন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জনি সম্মত হলে তাঁকেও বেতন দিয়ে দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.