ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে সব ভাল যার শেষ ভাল। ইস্টবেঙ্গলে তাঁর আগমনটা ছিল দুর্দান্ত। দু’হাত বাড়িয়ে বিশ্বকাপারকে স্বাগত জানিয়েছিল কলকাতার ময়দান। কিন্তু শেষটা ভাল হল না। হল ঠিক উলটো। একপ্রকার মেজাজ হারিয়ে, মনে একরাশ ক্ষোভ নিয়েই ক্লাব ও শহর ছাড়লেন জনি অ্যাকোস্টা (Johnny Acosta)।
সোমবার সকালে কোস্টা রিকার উড়ে যাওয়ার কথা লাল-হলুদের বিশ্বকাপার ডিফেন্ডারের। কিন্তু তার আগে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ক্লাব তথা ইনভেস্টর কোয়েসের উপর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বেতন সমস্যা না মেটানো, দেশে ফেরার ব্যবস্থা না করে দেওয়ার মতো অভিযোগ তুলে কোয়েসকে একহাত নেন অ্যাকোস্টা। তবে এতকিছুর মধ্যেও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তারকা ডিফেন্ডার।
রবিবার অ্যাকোস্টা লেখেন, “জীবনের একটা অধ্যায় শেষ করলাম। তবে এবার অভিজ্ঞতা একটু অন্যরকম। কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসির প্রতি আমার অনেকখানি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল। কিন্তু শেষমেশ চুক্তি আর বেতন নিয়ে কোনও সমস্যাই মিটল না। প্রতিশ্রুতি রাখল না তারা। এমনকী আমায় কোস্টা রিকা ফেরার ব্যবস্থাও করে দিল না। সেখানে আমার প্রতি কোনও সহানুভূতি দেখানো হল না।” এরপরই যোগ করেন, “এখানে খুব ভাল সময় কাটিয়েছি। আমার পাশে থাকায় সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই। ওদের সবসময় মনে রাখব। ধন্যবাদ ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal)।”
লকডাউনের জেরে গত দু’মাস ফুটবলারদের বেতনে কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল লাল-হলুদের সঙ্গে সদ্য বিচ্ছিন্ন হওয়া কোয়েস। তারপর থেকেই ক্লাবের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দেয়। অ্যাকোস্টার অভিযোগ, কোয়েস তাঁর ফেরার ব্যাপারে কোনওরকম সাহায্য করেনি। বাড়ি যাওয়ার সমস্ত বন্দোবস্ত নিজেকেই করে নিতে হয়েছে। যা তাঁর কাছে একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। ইস্টবেঙ্গলে কামব্যাক করা জনি তাই লকডাউনের আবহে একরাশ তিক্ততা নিয়েই ভারতীয় ফুটবলকে আপাতত বিদায় জানালেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.