ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ মার্চ আইএসএলের ফিরতি পর্বের ডার্বি। আবার ওইদিনই ব্রিগেড সমাবেশ ডেকেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই সমাবেশে লক্ষ লক্ষ জনসমাগম হওয়ার দাবি করছে শাসকদল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে, একই দিনে শহরের বুকে এত বড় সমাবেশ এবং ডার্বির মতো মেগা ম্যাচের আয়োজন আদৌ সম্ভব তো? সেই বিভ্রান্তি অবশেষে দূর হল। সূত্রের খবর, ডার্বির সূচিতে কোনও পরিবর্তন হবে না। ১০ মার্চ নির্ধারিত সময়েই বড় ম্যাচ হবে। বদলাবে না ভেন্যুও।
তৃণমূলের কর্মসূচি ঘোষিত হওয়ার পরই ডার্বির ভাগ্যাকেশে হঠাৎ যেন কালো মেঘ এসে দানা বাঁধে। ফুটবলপ্রেমীদের একাংশের মধ্যে বিভ্রান্তিও তৈরি হয়। অনেকের প্রশ্ন, আদৌ ১০ মার্চ ডার্বি হবে তো? পুলিশ এতবড় জনসভার পর আদৌ ডার্বির জন্য নিরাপত্তা দিতে পারবে তো? প্রশ্ন ওঠাটাও স্বাভাবিক। কারণ এক বছর আগেই লক্ষ্মী পুজোর দিন বড় ম্যাচ পড়ে যাওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত সূচি বদলে সেই ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুসারে লক্ষ্মী পুজোর দিন ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উৎসবের মাঝে পুলিশ দেওয়া সম্ভব না বলে জানিয়ে দেয় ক্রীড়া দপ্তর। এমনকী উৎসবের মধ্যে ম্যাচ পড়ায় পিছিয়ে দেওয়া হয় ইস্টবেঙ্গল বনাম গোয়ার খেলাও। এবারে অবশ্য তেমন কিছু হচ্ছে না।
ক্রীড়া দপ্তর সূত্রের খবর, ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ হলেও ডার্বি (ISL derby) আয়োজনে বিশেষ সমস্যা হবে না। তাছাড়া ব্রিগেডের সমাবেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে মূলত কলকাতা পুলিশ। আর ডার্বির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বিধাননগর সিটি পুলিশ। সুতরাং ডার্বি আয়োজনে বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আর শাসকদলও ডার্বি পিছিয়ে দিতে চাইছে না বলে সূত্রের দাবি। বড় ম্যাচ পিছিয়ে দিলে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তাঁর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে, সেই আশঙ্কা রয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। সুতরাং, সব ঠিক থাকলে ১০ মার্চ সন্ধে সাড়ে সাতটায় যুবভারতীতেই ডার্বি হচ্ছে। দুই দলই ছন্দে থাকায় ফিরতি ডার্বি ঘিরে সমর্থকদের উৎসাহ তুঙ্গে। সেদিন যে যুবভারতীতে সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়বে, তা আন্দাজ করাই যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.