সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুটা ভালোই হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে খেই হারিয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। একটা সময় যে দলটাকে অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছিল, সেই দলটাকেই এখন দেখে মনে হচ্ছে যে কেউ এসে হারিয়ে দিয়ে যাবে। কিন্ত মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কী এমন হল!
মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando) দায়ী করছেন চোট আঘাত সমস্যাকে। তাঁর দাবি, দলের প্রথম সারির প্রচুর ফুটবলার একসঙ্গে মাঠের বাইরে। ফলে তাল কাটছে দলের। কিন্তু প্রাক্তন মোহনবাগানী এবং অধুনা কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) ডিফেন্ডার প্রবীর দাস বলছেন অন্য কথা। প্রবীরের বক্তব্য, মোহনবাগানকে ভুগতে হচ্ছে বাংলার ফুটবলার না থাকার জন্য। স্থানীয় ফুটবলাররা যেভাবে মোহনবাগানের আবেগটা বোঝে বাইরের ফুটবলাররা সেই আবেগটা বোঝে না। সেটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সবুজ-মেরুনের।
বুধবারই প্রবীর দাসের দল কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের হার নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রাক্তন মোহনবাগানি বলছেন,”আমি যখন কেরালাতে সই করি, তখন কেরালার পাঁচটা প্লেয়ার আমাকে বুঝিয়েছিল ওরা কী চায়। কেরালার ফুটবল কী চায়।” প্রবীর স্পষ্ট বলছেন,”মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal) আবেগের ক্লাব। এই আবেগটা বুঝতে হবে। আর সেটা বোঝার জন্য কিছু বাঙালি দরকার।” প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার বলে দিচ্ছেন, মোহনবাগানের দল খুব ভালো। ভালো কিছু ওরা করবে। তবে সমর্থকদের আবেগ বুঝতে হবে। বাবা-মা মারা যাচ্ছে তাও মাঠে চলে আসছে। এই আবেগ বুঝতে হবে। যখন আমি ছিলাম, আমি সেটা বুঝতাম ড্রেসিং রুমে শেয়ার করতাম।”
প্রবীর দাস একাধিক মরশুম মোহনবাগানের হয়ে খেলেছেন। এই জুয়ান ফেরান্দোর আমলেই তাঁকে ছেঁটে ফেলে সবুজ-মেরুন শিবির। বস্তুত ফেরান্দোর মোহনবাগানে উল্লেখযোগ্য বাঙালি ফুটবলার বলতে শুধু শুভাশিস বোস। বাঙালির অভাবই মোহনবাগানের দুর্দশার কারণ, বলছেন প্রবীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.