দুই স্পেনীয়র মস্তিষ্কযুদ্ধ দেখবে দেশ। ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) কোচ তিনি হয়েই গিয়েছিলেন। তারপরেই কাহানি মে টুইস্ট। সের্জিও লোবেরা (Sergio Lobera) এলেন না লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে। চলে গেলেন ওড়িশা এফসিতে। তাঁর হাতেই দলের রিমোট কন্ট্রোল।
লোবেরা শেষ মুহূর্তে ঠিকানা বদলে ফেলায় ইস্টবেঙ্গলে এলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat)। তিনিই এখন লাল-হলুদের মসিহা। তাঁর হাতে পড়েই বদলে গিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু মোহনবাগানের কাছে ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় কুয়াদ্রাতের। এবার আবার ফাইনালে। সুপার কাপের ফাইনালে। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে কুয়াদ্রাতের মুখোমুখি সের্জিও লোবেরা। দুই স্প্যানিশ মায়েস্ত্রোর বুদ্ধিযুদ্ধ দেখবে দেশ।
৪ নভেম্বর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে হারের পর থেকে টানা ন’টি ম্যাচে হারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। এর মধ্যে চারটিতে ড্র ও পাঁচটিতে জয় পেয়েছে তারা। সুপার কাপের ডার্বি জিতে সেমিফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করেছে কুয়াদ্রাতের দল।
অন্য দিকে, ওড়িশা এফসি টানা ১৫টি ম্যাচে অপরাজিত। ২৭ অক্টোবর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১-২-এ হারার পর থেকে আর কোনও ম্যাচে হারেনি তারা। ১৫টি ম্যাচের মধ্যে লোবেরার দল জিতেছে ১৩ বার। দু’টি ড্র।
মাস খানেক আগে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লোবেরার দলকে আটকে দিয়েছিল কুয়াদ্রাত-বাহিনী। সারা ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে থেকেও ইস্টবেঙ্গলকে বশ করতে পারেনি ওড়িশা। গোটা ম্যাচে অনেক বেশি পাসও (৪৭৬-২৩১) খেলে তারা। কিন্তু তার পরেও ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হয় ওড়িশা। ইস্টবেঙ্গল শেষবার সর্বভারতীয় খেতাব জিতেছিল ২০১২ সালে। তার পরে এক যুগ কেটে গেলেও ট্রফি ঢোকেনি লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে।
রবিবার কলিঙ্গ-যুদ্ধের আগে কুয়াদ্রাত বলছেন, ”সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ফাইনালটা জেতা।” লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ বলেন, ”দুর্ভাগ্যক্রমে ডুরান্ড কাপ আমরা জিততে পারিনি। আমরা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছি। এবার আরও একটা ফাইনালে উঠেছি।” ২০১৮ সালে এই কলিঙ্গতেই ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বেঙ্গালুরু। সেই সময়ে কুয়াদ্রাত ছিলেন বেঙ্গালুরুর কোচ। মাঝে কেটে গিয়েছে ছবছর। কুয়াদ্রাতও জার্সির রং বদলেছেন। স্প্যানিশ কোচ বলছেন, ”আরও একটা মুহূর্তের অপেক্ষায়। সেবার ইস্টবেঙ্গল ফাইনালে উঠেছিল। এবারও ফাইনালে আমরা। আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.