সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় দলে খেলা বঙ্গকন্যা পৌলমী অধিকারীর জীবন সংগ্রামের কথা পৌঁছে গিয়েছে সকলের কাছে। এবার তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার পৌলমীকে ডেকে কথা বলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মহিলা ফুটবলারকে চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। তবে পৌলমীর ইচ্ছা, চাকরির পাশাপাশি খেলাও চালিয়ে যাবেন তিনি। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পৌলমীকে ডেকে কথা বলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী।
ভারতের হয়ে খেলা পৌলমী অভাবের তাড়নাতেই জোম্যাটোর ডেলিভারি পার্সনের পেশা বেছে নিয়েছেন। ছোটবেলায় হারিয়েছেন মা’কে। এক দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাবার দেখভালের দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই। বাংলার মেয়ে ভারতের হয়ে খেললেও জাতীয় দলের হয়ে খেলা কোনও মহিলা ফুটবলার, কোচ, এমনকী কর্তারাও মনে করতে পারছিলেন না, কোন পৌলমীর কথা বলা হচ্ছে। কারণ, সিনিয়র পর্যায়ে ভারতের হয়ে খেললে পরিচিত মুখ হতেন। পরে জানা যায়, ২০১৩-তে অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় দলের জন্য বাংলা থেকে যে তিন ফুটবলারকে ট্রায়ালে পাঠানো হয়, পৌলমী তাঁদেরই অন্যতম। তবে সিনিয়র পর্যায়ে দেশের হয়ে খেলেননি। ২০১৬-তে ভারতের হয়ে খেলেছেন ‘হোমলেস বিশ্বকাপে’।
তাঁর জীবনসংগ্রামের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে আইএফএ। পৌলমীকে তাঁর খেলার যাবতীয় প্রমাণপত্র-সহ আইএফএ-তে দেখা করতে বলেন সংস্থার সচিব অনির্বাণ দত্ত। জীবনপঞ্জি ঠিকঠাক থাকলে, পৌলমীর জন্য অবশ্যই চাকরির চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি। একজন ফুটবলারকে দুর্দশার মধ্যে পড়তে দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে আইএফএ। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরের দিনই উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ডেকে পাঠান পৌলমীকে। সেখানে পৌঁছে মহিলা ফুটবলার জানান, “আমার একটা চাকরির খুব দরকার। তবে কাজের পাশাপাশি খেলাটাও চালিয়ে যেতে চাই। আবারও জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার ইচ্ছা আছে।” অরূপ বিশ্বাস বলেছেন, “পৌলমীর পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। ও যেন একটা চাকরি পায়, সেই চেষ্টা করছি আমরা। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়েছি। আধিকারিকরাও সমস্ত বিষয়টির দিকে নজর রাখছেন। নিয়ম মেনেই পৌলমীর দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।” রাজ্যের তরফে সাফ বার্তা, অভাবী ফুটবলারের পাশেই রয়েছে প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.