বায়ার্ন মিউনিখ: ১ (কোম্যান)
প্যারিস সাঁ জাঁ: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাইনাল হল ফাইনালের মতোই। ঝুড়ি ঝুড়ি গোলের মালা নয়। ক্রমাগত মিস পাস, বা স্লথগতির ফুটবল নয়। একেবারে জমজমাট, হাড্ডাহাড্ডি এবং উপভোগ্য। আর এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল বায়ার্ন মিউনিখ। কিংসলে কোম্যানের একমাত্র গোলে প্যারিস সাঁ জাঁ-কে হারিয়ে ষষ্টবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (UEFA Champions League) জিতল বায়ার্ন মিউনিখ। রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান এবং লিভারপুলের পর চতুর্থ দল হিসেবে ৬টি ইউসিএল জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করল বায়ার্ন।
⭐️ 2020
⭐️ 2013
⭐️ 2001
⭐️ 1976
⭐️ 1975
⭐️ 1974#UCLfinal pic.twitter.com/AFT5o6P2Or— #UCLfinal (@ChampionsLeague) August 23, 2020
রবিবার লিসবনে ফাইনালে নামার আগে চেলসি, বার্সেলোনা এবং লিয়ঁকে একপ্রকার দুরমুশ করে এসেছিল বায়ার্ন (Bayern Munich)। চেলসি, বার্সার মতো ক্লাবকে ৭-১ বা ৮-২ গোলের ব্যবধানে হারানোটা চাট্টিখানি কথা নয়। সেমিফাইনালেও তাঁরা জিতেছিল ৩-০ গোলে। অন্যদিকে, পিএসজির ফাইনালে ওঠার পথ এতটা মসৃণ ছিল না। তাছাড়া ফাইনালে ওঠার আগে পর্যন্ত তেমন বড় দলের বিরুদ্ধে খেলতেও হয়নি নেইমারদের। আর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেও প্যারিসের দলটির থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল মিউনিখের দলটি। কারণ, এই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলল পিএসজি। আর বায়ার্ন ইতিমধ্যেই ৫ বার এই টুর্নামেন্ট জিতে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রবিবারের ফাইনালের আগে বায়ার্নকে নিয়েই বাজি ধরছিলেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ। তবু, নেইমার, এমবাপে, ডি মারিয়াদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছিল প্যারিস।
সেই নেইমার, এমবাপেরাই শেষপর্যন্ত ডুবিয়ে দিল বায়ার্নকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যে পরিমাণ সুযোগ তাঁরা নষ্ট করলেন, তাতে আর যাই হোক বায়ার্নের মতো দলের বিরুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়। প্যারিস সা জাঁ যতগুলি সুযোগ তৈরি করেছিল, তার সিকিভাগ কাজে লাগাতে পারলেও হয়তো অন্যরকম হত খেলার ফল। কিন্তু নেইমার (Neymar) প্রথমার্ধের মিনিট সতেরোর মাথায় একেবারে সহজ সুযোগ মিস করলেন। এমবাপে আবার প্রায় পেনাল্টি স্পট থেকে একটি গোল মিস করেছেন। দ্বিতীয়ার্ধে ডি মারিয়াও কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সেটাও কাজে লাগাতে পারলেন না। এছাড়া ছোটখাট চান্স, হাফচান্স তো ছিলই। কিন্তু কোনও কিছুই বায়ার্নের জালে জড়াতে পারেনি পিএসজি। এর জন্য শুধু নেইমারদের দোষারোপ করাটা অবশ্য অন্যায় হবে। কারণ, এর কৃতিত্ব অনেকটাই এক জার্মানের। তিনি ম্যানুয়েল নয়্যার। এদিন দুর্ভেদ্য প্রাচীরের মতো নিজের দুর্গ রক্ষা করলেন বিশ্বকাপজয়ী এই গোলকিপার। নেইমার, এমবাপেদের একের পর এক শট তিনি প্রতিহত করলেন। আক্রমণ অবশ্য উলটোদিকে বায়ার্নও বেশ কয়েকটি করেছিল। কিন্তু মারকুইনহস আর সিলভাদের ডিফেন্স অনেকগুলি আক্রমণ প্রতিহত করে। ম্যাচের ঘণ্টাখানেকের মাথায় পিএসজি রক্ষণের কয়েক সেকেন্ডের ভুলে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করে যান কোম্যান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (Paris Saint-Germain) ফিরে যায় বায়ার্নের ঘরে। এই প্রথম কোনও দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবকটি ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হল। সুতরাং বলতেই হচ্ছে, যোগ্য দল হিসেবেই খেতাব জিতেছে জার্মানরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.