সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা রাখলেন বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। প্রতিশ্রুতি মতোই বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবে গেলেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের এক মাসের বেতনও তুলে দিলেন ক্লাব কর্তাদের হাতে।
চুক্তিসংক্রান্ত সমস্যায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল। বুধবার লাল-হলুদ সমর্থকদের একাংশের বিক্ষোভে রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে ময়দান। এরপরই পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। পুরো ঘটনায় ব্যথিত হন মদন মিত্র। ফেসবুক লাইভে স্পষ্ট করেন নিজের মনের কথা। শ্রী সিমেন্টের নাম উল্লেখ না করে তীব্র কটাক্ষও করেন। মদন বলেন, ‘আমার বাড়ির নিচে ২ হাজার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থক দাঁড়ানো। তারা সবাই বলছে, দাদা তুমি লড়াই কর। আমরা সঙ্গে আছি। ওই ২ হাজারের মধ্যে ৫০০-৭০০ মহিলাও আছেন। অন্য কোনও নেতা হলে এতক্ষণে পুলিশ ডেকে ফেলত। তাদের একটাই দাবি, পশ্চিমবঙ্গের কোনও ক্লাব কোনও কোম্পানিকে বিক্রি করতে দেব না। অভাব আছে। ঠিক আছে কয়েকটা ট্রফি পায়নি। ট্রফি পায়নি বলেই ক্লাব বিক্রি করে দেওয়া হবে। মানে এরপর বিশ্বভারতীর রেজাল্ট খারাপ হলে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি উড়ে যাবে? আমি কিন্তু তৃণমূল নেতা হিসাবে বলছি না। একসময় আমি তো ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলাম।’
ফেসবুক লাইভেই কামারহাটির বিধায়ক সমর্থকদের আশ্বস্ত করে বলেন, “ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে বিক্রি করতে দেব না, এই দাবির সঙ্গে আমিও আছি।’ এরইসঙ্গে নিজের বিধায়কের এক মাসের মাইনেও দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।”
এদিন সেই প্রতিশ্রুতি রাখতেই ক্লাবে আসেন। পরনে ছিল লাল পাঞ্জাবী এবং হলুদ ধুতি। এরপরই ক্লাব প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কঠিন সময়ে ক্লাবের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দেন। এরপর ক্লাবের মাঠও ঘুরে দেখেন। সেখানে গোলও করলেন মদন মিত্র। একইসঙ্গে বিধায়ক হিসেবে তাঁর একমাসের বেতন তুলে দিলেন ক্লাব কর্তৃপক্ষকে।এখানেই শেষ নয়, বিজেপিকে বিঁধলেন তিনি।তবে তিনি জানান, এদিন তিনি এখান তৃণমূল বিধায়ক নয়, ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবেই এখানে এসেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.