Advertisement
Advertisement
Diego Maradona

মারাদোনার কফিনের পাশে পোজ দিয়ে ছবি, করুণ পরিণতি হল সমাধিস্থলের ৩ কর্মীর

ছবিতে দেখা যায়, তিনজনের মুখেই হাসি।

Thumbs-up Next to Diego Maradona's Coffin, 3 funeral workers lost their jobs
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 28, 2020 6:05 pm
  • Updated:November 29, 2020 2:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঈশ্বরের বিদায়ে মুষড়ে পড়েছিল গোটা বিশ্ব। আবার সামলে নিয়ে সম্রাটোচিত মর্যাদাতেই সম্রাটকে বিদায় জানিয়েছে আপামর জনতা। কিন্তু দিয়েগো মারাদোনাকে শেষবারের মতো ছুঁয়ে দেখা, তাঁর স্মৃতি আজীবন আগলে রাখার লোভ সামলাতে পারলেন না সমাধিস্থলের তিন কর্মী। আর আবেগে ভেসে তেমনটা করতে গিয়েই চরম বিপাক পড়লেন তাঁরা। খোয়াতে হল চাকরি।

চিরঘুমে চলে যাওয়া ফুটবলের রাজপুত্রকে (Diego Maradona) বুয়েন্স আইরেসে সমাধিস্ত করার ঠিক আগের মুহূর্তে ঘটে ঘটনাটা। কফিনবন্দি মারাদোনার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন সমাধিস্থলে কর্মরত ক্লডিও ফার্নান্ডেজ এবং তাঁর দুই ছেলে ইসমাইল ও দিয়েগো মোলিনা। ছবিতে দেখা যায়, তিনজনের মুখেই হাসি। বুড়ো আঙুল উঁচু করে আনন্দের বহিঃপ্রকাশও ঘটিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিটি ভাইরাল হতে বিশেষ সময় লাগেনি। আর এতেই তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েন ক্লডিও। শুধু বিতর্কই নয়, আরও করুণ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁকে খুনের হুমকি দিতে শুরু করেন মারাদোনার ভক্তরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মরার উপর খাঁড়ার ঘা! প্রথম ওয়ানডেতে বিশ্রী হারের পর মোটা অঙ্কের জরিমানা টিম ইন্ডিয়ার]

পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে রেডিও স্টেশনে পৌঁছে আমজনতার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করতে হয় ক্লডিওকে। তিনি জানান, মারাদোনা ও তাঁর শালার জন্য তিনি কাজও করেছেন। “তাঁদের কখনও অসম্মান করিনি। আর মারাদোনার প্রয়াণে তাঁকে অশ্রদ্ধা করার তো স্পর্ধা তাঁর নেই। কারণ উনি আমার আদর্শ। আমার ছেলের খুব বেশি বয়স নয়। তাই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভুল করে ফেলেছে। জানি এতে অনেকেরই খারাপ লেগেছে। অনেকেই এভাবে ছবি তোলার বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি। আমি আন্তরিকভাবে সকলের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”

কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হল না। ক্লডিও নিজেই জানান, এই ঘটনার পরই চাকরি খুইয়েছেন তাঁরা। এদিকে, ওই সমাধিস্থলের মালিক জানিয়েছেন, ওঁরা তাঁর অধীনে সরাসরি কাজ করতেন না। এখানে কাজ করে অন্য সংস্থা থেকে বেতন পেতেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের জেরেই তাঁদের আর কাজে রাখার ঝুঁকি নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

[আরও পড়ুন: OMG! ম্যাচ চলাকালীনই রাহুলের কাছে ক্ষমা চাইলেন ম্যাক্সওয়েল, কিন্তু কেন?]

আর্জেন্টিনায় যখন জোর বিতর্ক তখন মারাদোনার স্মৃতিতে মজে কেরলবাসী। ২০১২ সালে কেরলে গিয়েছিলেন ফুটবল ঈশ্বর। তিনি যে ঘরটিতে বসেছিলেন, সেটি এবার জাদুঘরে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement