Advertisement
Advertisement
মোহনবাগান

ডার্বি দেখতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা মোহন সমর্থকের, সাহায্যের হাত বাড়ালেন কর্তারা

দুই পা নেই, তবু ট্রাই-সাইকেলেই খেলা দেখতে যাচ্ছিলেন টিঙ্কু।

Specialy able Mohun Bagan fan met an accident sunday
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 21, 2020 10:02 am
  • Updated:January 21, 2020 10:32 am  

গৌতম ব্রহ্ম: ট্রাইসাইকেলের পিছনে পতপত করে উড়ছিল সবুজ-মেরুন পতাকা। দু’হাতে ঘুরছিল প্যাডেল। লক্ষ্য যুবভারতী। হঠাৎই সজোরে ধাক্কা। বরাতজোরে বেঁচে গেলেও ডার্বি দেখা হল না টিঙ্কু দাসের। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুলিশ জখম টিঙ্কুকে নিয়ে এল এনআরএস হাসপাতালে। শুরু হল চিকিৎসা। মাথার সিটি স্ক্যান বলল, আঘাত লাগলেও মস্তিষ্কের ভিতর রক্তক্ষরণ হয়নি। কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। সোমবার ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর তরফে টিঙ্কুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, সুস্থই আছেন মোহনবাগান সমর্থক। ডার্বির রেজাল্ট জানার পর আরও সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। টিঙ্কুকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন মোহনবাগান কর্তারাও।

টিঙ্কু দাস। বাড়ি বেলতলা রোডে। টিঙ্কুর পা নেই। বছর ছ’য়েক আগে ট্রেনে কাটা পড়ে দুটো পা। সেই থেকে ট্রাই সাইকেলই ২৯ বছরের যুবকের ভরসা। মাঠেও যান তিনচাকা নিয়েই। রবিবার ডার্বি ম্যাচ দেখতে যুবভারতী স্টেডিয়াম যাচ্ছিলেন টিঙ্কু। বেলেঘাটা ক্রসিংয়ের সামনে পিছন থেকে একটি লাল রঙের গাড়ি ট্রাই-সাইকেলটিকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন টিঙ্কু। মাথায় আঘাত লাগে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কী হবে মোহনবাগানের নতুন নাম এবং জার্সির রং? মুখ খুললেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা]

মোহনবাগানের (Mohun Bagan A.C.) ম্যাচ থাকলেই তিনচাকার পিছনে মোহনবাগানের ফ্ল্যাগ উড়িয়ে ‘দুগ্গা দুগ্গা’ বলে যাত্রা শুরু করেন এই কট্টর মোহনবাগানি। ডার্বি থাকলে তো কথাই নেই। তিনচাকার ছোট্ট দুনিয়ায় রং-রস-আনন্দ-আবেগ বলতে শুধু মোহনবাগান। শহরে মোহনবাগানের ম্যাচ থাকলে একটাও তাঁর মিস হয় না। মোহনবাগানের খেলা মানেই টিঙ্কু গ্যালারিতে হাজির। এমনটাই জানাল টিঙ্কুর পরিবার। রবিবারও বিকেলে যুবভারতীর পথ ধরেই ছুটছিল টিঙ্কুর তিনচাকা। মাঝপথেই কাটে তাল। দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যান সেই লাল গাড়ির চালক। টিঙ্কুর পিছনেই বাইক নিয়ে আসছিল তাঁর পাড়ার একদল ছেলে। তাঁরাই পুলিশের সহযোগিতায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান টিঙ্কুকে। সিটি স্ক্যান হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বিপজ্জনক কিছু মেলেনি। তাই প্রাথমিক চিকিৎসার পর টিঙ্কুকে বাড়ি ফেরার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। টিঙ্কুর জামাইবাবু অজয় হাজরা বলেন, “টিঙ্কু ফুটবল পাগল। মোহনবাগানের কট্টর সমর্থক। হাসপাতালে শুয়েও বারবার ডার্বির খবর নিচ্ছিল। এখন টিঙ্কু ভালো আছে। বাড়িতেই আছে। ট্রাই-সাইকেলও চালাচ্ছে। সমস্যা হলে আবার হাসপাতালে যোগাযোগ করব।”

টিঙ্কুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন মোহনবাগান কর্তারা। সবুজ-মেরুন সচিব সৃঞ্জয় বোস জানিয়েছেন, ওঁকে ক্লাবের তরফে নতুন একটি ট্রাই-সাইকেল কিনে দেওয়া হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement