এমবাপে ও বোল্ট। ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মুহূর্তে বিশ্বের দ্রুততম ফুটবলারের নাম কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)। গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে মাটি ধরান ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজি ও রিয়াল সোসিয়েদাদ ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপে প্রায় ভাঙতে বসেছিলেন জামাইকান বিশ্বসেরা উসেইন বোল্টের (Usain Bolt) বিশ্বরেকর্ড।
২০০৯ সালে বার্লিনে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে বোল্ট ১০০ মিটার শেষ করেছিলেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এমবাপে একশো মিটার দৌড়লেন ১০.৯ সেকেন্ডে। অল্প কয়েক সেকেন্ডের জন্য জামাইকান বিশ্বসেরার রেকর্ড অক্ষত থেকে যায়।
কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারিস সাঁ জাঁ ২-১ গোলে হারায় রিয়াল সোসিয়েদাদকে। এমবাপেই দুটো গোল করেন ম্যাচে। তাঁর জোড়া গোলেই ম্যাচ জেতে পিএসজি।
এমবাপের গতি দেখার পরে অনেকেই আবার তর্ক শুরু করে দেন, ফুটবলে ছোট ছোট স্প্রিন্ট তুলতে হয় ফুটবলারদের। বল নিয়ে দৌড়তে দৌড়তে দিক পরিবর্তন করতে হয়। সেই সঙ্গে রয়েছে ড্রিবলিং। ফলে একজন স্প্রিন্টারকে যেরকম একশো মিটার দৌড়তে হয়, একজন ফুটবলারকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে একশো মিটার দৌড়তে হয় না। একজন স্প্রিন্টার স্টার্টিং ব্লক থেকে ছিটকে বেরনোর পর ধীরে ধীরে গতি বাড়িয়ে নিজের সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছন। বোল্টও ঠিক যেমন করতেন ট্র্যাকে। দৌড়তে দৌড়তে বিদ্যুৎ বোল্ট সবাইকে ছাপিয়ে সবার আগে দৌড় শেষ করতেন। বিশ্বরেকর্ড গড়তেন।
কিলিয়ান এমবাপের গতি গৃহস্থের গর্ব পড়শির ঈর্ষার কারণ। ওই গতির সঙ্গে ড্রিবলিং এমবাপেকে পৌঁছে দিয়েছে অন্য এক উচ্চতায়। বারো বছর আগে লা লিগায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ৯৬ মিটার দৌড়েছিলেন ১০ সেকেন্ডে। সিআর সেভেন তখন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় ছিলেন। সেই সময়ে পর্তুগিজ মহাতারকাকে নিয়ে জোর চর্চা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, রোনাল্ডো দ্রুতগতির সবাই জানেন, তবে এতটা গতিশীল তা জানা ছিল না।
রিয়াল সোসিয়েদাদের বিরুদ্ধে এমবাপের খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। সেই এমবাপে নামলেন। গোল করলেন। দলকে জেতালেন। প্রায় ভেঙে দিচ্ছিলেন উসেইন বোল্টের বিশ্বরেকর্ড। দিনের শেষে চর্চায় শুধুই কিলিয়ান এমবাপে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.