স্টাফ রিপোর্টার: রাতে জুলেন, দেবজিতদের হোটেলের কনফারেন্স রুমে ডেকে নিয়েছিলেন কিবু ভিকুনা। সকলের সামনেই স্প্যানিশ কোচ আবেগঘন সুরে বলেন, “কেন তোমাদের ডাকা হয়েছে নিশ্চয় বুঝতে পারছো। শুক্রবার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ। তোমরা যদি এই ম্যাচ না জেত তাহলে আমাদের কলকাতায় ফিরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। যেভাবেই হোক ম্যাচটা জেত। তাহলেই চলবে। অন্যরা কী করল না করল সেদিকে তাকানোর দরকার নেই। বাকি ব্যাপারটা আমার উপর ছেড়ে দাও।”
উদ্বেগের সঙ্গে আবেগের সুর স্পষ্ট ভিকুনার গলায়। প্রথম ম্যাচে হার। অথচ ২৪ ঘন্টা আগে দল জিতেছে। যাবতীয় চাপ কাটিয়ে ওঠার কথা। অথচ ঘটছে ঠিক উলটো। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিরুদ্ধে আজ খেলতে নামার আগে চাপের পাহাড় যেন সবুজ-মেরুন শিবিরে জাঁকিয়ে বসেছে। পরপর দু’টো ম্যাচে এই স্থানীয় দলটি জিতেছে চার গোলের ব্যবধানে। বোঝাই যাচ্ছে গুণগত মানে কিছুটা হলেও মোহনবাগানের তুলনায় তারা এগিয়ে। সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরি ফোনে চট্টগ্রাম থেকে বলেই ফেললেন, “গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন দলের মোকাবিলায় শুক্রবার নামতে চলেছি। চারজন বিদেশি খেলে। জাতীয় দলের ছ’জন রয়েছে। প্রেসিং ফুটবলের সঙ্গে দলটা প্রচুর দৌড়য়। তাই আমাদের এই দলটাকে নিয়ে ভাবতে হচ্ছে বইকি। কিন্তু চিন্তিত নই। আমরা যদি নিজেদের খেলা খেলতে পারি তাহলে ভাববার কিছু থাকবে না।”
মোহনবাগানের সুবিধে হল, মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ও লাওসের ইয়ং এলিফ্যান্টের মধ্যে খেলাটি আগে হয়ে যাবে। যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট হিসাব করে দেখেছে, আজ জিতলেই শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত। তাই ভিকুনা বাহিনী অন্যদিকে তাকাতে চাইছে না। রঞ্জন বলছিলেন, “আমরা জানি জেতা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। আগে জিতি তারপর যাবতীয় অঙ্ক কষা যাবে। মানছি, প্রথম খেলা হয়ে গেলে আমরা বুঝে নিতে পারব কোন জায়গায় রয়েছি। কিন্তু সামনে যখন অন্য কোনও পথ নেই তখন আর প্রতিপক্ষের খেলা দেখে করব কী।” বোঝাই গেল, পুরো শিবিরের ধারণা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে।
মোহনবাগানকে আরও ভাবিয়ে তুলেছে নওরেম ও গুরজিন্দরের চোট। দু’জনেই সম্ভবত আই লিগের আগে অন্য কোনও ম্যাচ খেলতে পারবেন না। দল যদি সেমিফাইনালে খেলেও তাহলে দু’জনেই নামতে পারবেন না। মোহনবাগানের সহকারী কোচ বলছিলেন, “মানছি, ওদের তিন-চারজন বেশ ভাল খেলে। তবে আমরা আলাদা করে কাউকে ভাবছি না। জোনাল মার্কিংয়ে তাদের কড়া নজর রাখা হবে। তবে এটুকু বলতে পারি, আমরা ভাবছি নিজেদের নিয়ে। কে কী করল না করল তা ভেবে লাভ নেই। এসব নিয়েই আমরা বেশি চিন্তিত।” উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চান না ভিকুনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.