দুলাল দে: ফুটবলারদের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে রেগে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) সিইও শিবাজি সমাদ্দার। একে পর পর হার। তার উপর ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন অদক্ষতার কারণে ফুটবলাররা রীতিমতো ক্ষুব্ধ।
গতকাল জামশেদপুর (Jamshedpur FC) ম্যাচে মরিয়া লড়াই করেন ফুটবলাররা। শেষ মুহূর্তের গোলে হারতে হয় এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। খেলার পরে ড্রেসিংরুমে হতাশায় কেঁদে ফেলেন কোচ রেনেডি সিং (Renedy Singh)। এরকম লড়াইয়ের পর পয়েন্ট না আসায় ভেঙে পড়েন লাল-হলুদ ফুটবলাররাও। হোটেলে ফিরে দেখেন, ডিনারে তাঁদের জন্য রাখা হয়েছে বিরিয়ানি! ম্যাচ খেলে ওঠার পর ডিনারে ফুটবলারদের দেওয়া হচ্ছে বিরিয়ানি! অনেক ফুটবলার ডিনার না করে শুধু ফল খেয়েই গোটা রাত কাটিয়ে দেন।
টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ফুটবলাররা যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছেন, সেখানে এদিন সকালে এক ফুটবলার সিইও শিবাজি সমাদ্দারকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, “আমরা মাঠের মধ্যে সীমিত ক্ষমতা নিয়ে লড়াই করছি। আর আপনি হোটেলে থেকে ফেডারেশনের একটা অনলাইন মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে পারলেন না! আপনি মিটিংয়ে থাকলে গতকাল পেরোসেভিচ খেলতে পারত।”
সঙ্গে সঙ্গে শিবাজি সমাদ্দার সেখানে লেখেন, “বিকেল ৫ টার সময় মেল করে সাড়ে সাতটায় মিটিং ডাকছে। ঠিক আছে, আমি আর সিইও থাকব না।” বলেই ফুটবলারদের গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান এসসি ইস্টবেঙ্গেলর সিইও। সব মিলিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে ফুটবলাররা এখন মারাত্মক ভাবে ক্ষুব্ধ।
উল্লেখ্য, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মেজাজ হারিয়ে রেফারিকে ধাক্কা মেরে পাঁচ ম্যাচ নির্বাসিত পেরোসেভিচ। তাঁর শাস্তি কমানোর জন্য আবেদনও করে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শুনানির দিন হাজির ছিলেন না লাল-হলুদের সিইও শিবাজি সমাদ্দার।