সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিওনেল মেসি (Lionel Messi) নন, কিলিয়ান এমবাপেরই (Kylian Mbappe) সোনার বল পাওয়া উচিত ছিল। যে সে নন, ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনাল্ডো এমন কথা বলেছেন। মেসিকে সোনার বল দেওয়া কি ঠিক হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তর চর্চা। এর মধ্যেই রোনাল্ডোর মন্তব্য বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি দেবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
টুর্নামেন্টের বেস্ট প্লেয়ারকে সোনার বল দেওয়া হয়। সোনার বুট দেওয়া হয় বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে। ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে পেয়েছেন সোনার বুট। বিশ্বকাপে ফরাসি তারকা গোল করেছেন আটটি। মেসির গোলসংখ্যা সেখানে সাত। ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার বলছেন, এমবাপেরই সোনার বল পাওয়া উচিত ছিল।
রোনাল্ডো বলেন, ”কিলিয়ান এমবাপে এবার আমাকে চমকে দিয়েছে। প্রথম ম্যাচ থেকে ফাইনাল, দুর্দান্ত খেলেছে এমবাপে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল হোক বা মরক্কোর বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল, গোল না পেলেও এমবাপে কিন্তু অ্যাসিস্ট করেছে, ম্যাচের উপরে প্রভাব ফেলেছে।” মরক্কোর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ফ্রান্সের দ্বিতীয় গোলটার আসল কারিগর এমবাপেই। মরক্কোর রাইট ব্যাক হাকিমি প্যারিস সাঁ জাঁয় খেলেন এমবাপের সঙ্গে। অথচ হাকিমির সামনে দিয়েই গোলের গন্ধমাখা পাস বাড়িয়েছিলেন ফ্রান্সের দশ নম্বর জার্সিধারী।
বিস্ফোরক ফাইনালে আর্জেন্টিনা প্রথমার্ধে দু’ গোলে এগিয়েছিল। বিরতির সময়ে সাজঘরে উত্তেজিত এমবাপে তাতিয়ে দেন তাঁর সতীর্থদের। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপেই ফ্রান্সকে ম্যাচে ফেরান। দু’ গোল দিয়ে ফ্রান্সকে সমতা ফেরান। ম্যাচ যায় এক্সট্রা টাইমে। সেখানে লিওনেল মেসি গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু এমবাপেই ফ্রান্সের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। পেনাল্টি থেকে তিনি ৩-৩ করেন। টাইব্রেকারে মুন্সিয়ানা দেখান আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। চ্যাম্পিয়ন হয় নীল-সাদা জার্সিধারীরা।
যদিও ব্রাজিলের রোনাল্ডো বলছেন, ”ফাইনালে কিলিয়ান এমবাপে অসাধারণ খেলেছে। টেকনিক্যালি ও অনেকের থেকে এগিয়ে। ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল এমবাপে। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের সম্মান দেওয়া উচিত ছিল ওকেই। কারণ ওই যোগ্য এই সম্মানের।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.