Advertisement
Advertisement

Breaking News

East Bengal

কোয়েস জমানার বকেয়া বেতন, ফিফার চিঠিতে বেশ চাপে লাল-হলুদ

সময়ের মধ্যে না বেতন না মেটালে ফিফার তরফে বড়সড় শাস্তির মুখে পড়বে লাল-হলুদ।

Red and Gold brigade in pressure after FIFA sent a letter | Sangbad Pratidin
Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:March 9, 2021 1:28 pm
  • Updated:March 9, 2021 1:28 pm  

দুলাল দে: কোয়েস (Quess) বিদায় হয়েছে প্রায় ৭ মাস হয়ে গেল। তবুও লাল-হলুদ থেকে ‘কোয়েসের’ প্রাসঙ্গিকতা এখনও গেল না। গত মরশুমে আলেজান্দ্রোর ফিজিকাল ট্রেনার কার্লোস নোদারের বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে ফিফা চিঠি পাঠাতেই ক্লাব কর্তারা বেতন চেয়ে চিঠি পাঠালেন কোয়েস দপ্তরে। তবে শুধু কার্লোস নোদার নয়। বিদেশি কোলাডো থেকে যে ক’জন ভারতীয় ফুটবলার কোয়েস থাকাকালীন পুরো বেতন না পেয়ে ফেডারেশনের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে কোয়েসকে চিঠি পাঠিয়েছেন ক্লাব সচিব কল্যান মজুমদার। যে চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ফেডারেশন দপ্তরেও। তবে বেতন যেই মেটাক, তা যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না হয়, ফিফার থেকে বড় সড় শাস্তির মুখে পড়বে এসসি ইস্টবেঙ্গল।

এই মরশুমে এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) নামে এএফসির (AFC) লাইসেন্স হওয়ার সময় শ্রী সিমেন্ট কর্তাদের লিখিত দিতে হয়েছিল, ক্লাবের যা কিছু বকেয়া তা মেটাতে শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশন নামক নতুন কোম্পানি বাধ্য থাকবে। কিন্তু শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) তরফে কর্তারা বলছেন, লাইসেন্সের জন্য এরকম মুচলেকা দিতে হলেও ক্লাবের সঙ্গে তাঁদের যে টার্মশিটে সই হয়েছে, তাতে বলা আছে, সেপ্টেম্বরের আগের কোনও বকেয়ার দায়ভার নতুন কোম্পানি নেবে না। ফলে কোয়েসের সময়ের ফুটবলারদের মোট বকেয়ার প্রায় ৪ কোটি ৭ লক্ষ টাকার দেনার চিঠি ক্লাবকে পাঠিয়ে দিয়েছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন:  হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, সাডেন ডেথে গোয়াকে হারিয়ে ISL ফাইনালে মুম্বই]

ক্লাব কর্তারা অবশ্য শ্রী সিমেন্ট নয়। ফিফার চিঠি আসার পর পুরো পরিস্থিতির জন্য ‘কোয়েস’কেই দায়ী করছেন। স্পোর্টস লাইসেন্স ফেরত দেওয়ার সময় কোয়েসের তরফে বলা হয়েছিল, ক্লাব কর্মচারীদের বেতন এবং ক্রিকেটারদের যে বেতন বাকি রয়েছে, সেই আর্থিক বকেয়ার দায়ভার তারা ক্লাবের উপর দিয়ে দিতে চায়।আর কোচ-ফুটবলারদের বকেয়া নিয়ে কোয়েস বলেছিল, সব ব্যাপার তারা সমাধান করে ফেলেছে। কারণ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ দেখিয়ে অনেকের সঙ্গে চুক্তি শেষ করেছিল কোয়েস। তারাই এখন ফিফা এবং ফেডারেশনের শরণাপন্ন হলে, ফিজিকাল ট্রেনার এবং ফুটবলারদের বেতন নিয়ে ক্রামাগত চিঠি পাঠাতে শুরু করেছে ফিফা এবং ফেডারেশন। প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখিয়ে কোচ ফুটবলারদের সঙ্গে কোয়েস যে সমঝোতা করেছিল, তার কিছুই মানেনি ফিফা। ফলে কোচ-ফুটবলারদের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ আসছে। ফিফা কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের নামে চিঠি দিয়ে বলেছে, কার্লোস নোদারের বেতন মিটিয়ে দিতে। যে চিঠি ক্লাব কর্তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন শ্রী সিমেন্ট কর্তারা। সমস্যা সমাধানের জন্য ক্লাব কর্তারা এখন কথা বলছেন আইনজীবীদের সঙ্গে। 

FIFA Letter
১) করোনার কারণ দেখিয়ে কার্লোসকে চুক্তি বাতিলের চিঠি ২) চুক্তি বাতিলের শর্ত মানছে না ফিফা। ৩) চুক্তি ভঙ্গের ক্ষেত্রে তিন মাস আগে নোটিস দেওয়ার কথা বলছে ফিফা।

নিয়ম হচ্ছে, ফিফার চিঠি পেয়ে ‘ক্যাশ’ এর কাছে আবেদন করতে পারবে ক্লাব। সেক্ষেত্রে বেতন নিয়ে কার্লোস এবং ক্লাবের বক্তব্য শুনবেন ক্যাশ এর সদস্যরা। শোনা যাচ্ছে, তারই শুনানির দিন ঠিক হয়েছে, ২৫ মার্চ। কোয়েস কর্তারা ভেবেছিলেন, লকডাউনের সময় যেহেতু সারা বিশ্বেই আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছিল, তাই ফুটবলারদের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ দেখিয়ে চুক্তি বাতিল করলে, কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু ফিফা এখন দলের ফিজিকাল ট্রেনার কার্লোসের পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্লাব কর্তারা চেষ্টা করছেন, ফিফার সঙ্গে কথা বলে কার্লোসের আর্থিক দাবি কমাতে। তার মাঝেই বোঝানোর চেষ্টা হবে,বেতন বাকি রাখার জন্য ক্লাব কোনওভাবেই দায়ী নয়। যে শর্তে কোয়েস স্পোর্টস লাইসেন্স ফেরত দিতে চেয়েছে, সব কিছুই মেনে নিয়েছে ক্লাব। সেখানে কার্লোস এবং ফুটবলারদের বেতনের ব্যপারটা ছিল না। পরিস্থিতি হয়তো এতটা খারাপ হত না, যদি কোয়েস চুক্তি শেষের তিন মাস আগে কার্লোস নোদারকে চুক্তি ভঙ্গর নোটিস ধরাতো। কিন্তু কোভিড-১৯ এর কারণ দেখিয়ে চুক্তি ভাঙা হয়েছে একেবারে শেষ মুহূর্তে। যে আপত্তির কথা ফিফার চিঠির ৩৩ নম্বর পয়েন্টে পরিষ্কার বলা আছে।

তবে পরিস্থিতি যদি খারাপের দিকে যায়, তাহলে শাস্তির খাঁড়া কিন্তু নেমে আসবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের উপরেই। কিন্তু এই ইস্যুতে তারা চুপচাপই থাকতে চায়। তাছাড়া যতক্ষন না চুক্তি সংক্রান্ত ব্যাপার ক্লাবের সঙ্গে সমাধানের রাস্তা তৈরি না হচ্ছে, অতিরিক্ত কোনও অর্থ আর তারা বিনিয়োগ করবে না। সব মিলিয়ে ফিফার চিঠিতে কিন্তু বেশ চাপে লাল-হলুদ। 

[আরও পড়ুন: ‘গ্রেট ওয়াল অফ চায়না ভেঙে দেব’, ‘সাইনা’র ট্রেলারে অপ্রতিরোধ্য পরিণীতি, দেখুন ভিডিও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement