ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: ঝুঁকি নিলেন না কোয়েস ইস্টবেঙ্গল সিইও সঞ্জিত সেন। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন, মে মাসের পর ‘কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি’ কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যদিও তিনি নিজেকে প্রাক্তন সিইও দাবি করে বললেন, “অক্টোবরে আমি সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। ম্যানেজমেন্টের অনুরোধে মে পর্যন্ত কাজ করছি।” সব মিলিয়ে গোকুলাম ম্যাচে হারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ইস্টবেঙ্গলে ডামাডোল আরও বাড়ল।
কিছুদিন আগে যে আলেজান্দ্রো স্যর মাথায় মাথায় ঘুরছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকদের, টানা ব্যর্থতায় তিনি এখন মাথা থেকে সোজা মাটিতে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, কোচের ব্যর্থতায় সমর্থকদের ক্ষোভের শিকার হতে হয়েছে খোদ কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসির সিইও সঞ্জিত সেনকে। লক্ষ্মীবারে কোয়েস কর্তাদের মুখেও ঘুরছিল এক কথা, “কোনটা কম দেওয়া হয়েছে আলেজান্দ্রোকে? ফুটবলার, কোচিং স্টাফ নিজের হাতে বেছে নিয়েছেন। উন্নতমানের প্র্যাকটিসের জন্য আধুনিক সরঞ্জাম সব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমর্থকদের রোষের শিকার সঞ্জিত সেন।”
সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত হলেও পুলিশের কাছে এফআইআর করছেন না কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি সিইও। যদিও নিজের ঘাড় থেকে দায়ভার ঝেড়ে ফেলার জন্য তিনি বলেছেন, অক্টোবরে তিনি সিইওর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সঞ্জিত সেনের যুক্তিতে সমর্থকরা কেউ সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। প্রত্যেকের বক্তব্য, তিনি যে দায়িত্বে নেই, এ কথা তাহলে এতদিন বলেননি কেন? এতদিন সব ব্যাপারে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাহলে যে মুহূর্তে ব্যর্থতা আসতে শুরু করেছে, সবকিছু কোচের ঘাড়ে চাপিয়ে পালাতে চাইছেন কেন। নিজেকে আড়াল করতেই বা চাইছেন কেন। অথচ ইস্টবেঙ্গলে সবাই জানে, ক্লাব আর কোয়েসের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি শুরু তাঁর হাত দিয়েই ঘটেছে। আলেজান্দ্রো এ বিষয়ে কিছু জানতেন না। অথচ কিছুদিনের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ক্লাব বিরোধী হয়ে পড়েন। যা নিয়ে ক্লাবের অনেকে এখন মনে করছেন, সঞ্জিতবাবু চাইলে ক্লাব এবং কোচের মধ্যে দূরত্ব কমাতে পারতেন। কোচ যখন একের পর এক ভুল বিদেশি নিয়ে দল সাজাতে চাইছেন, তখন তিনি চুপ থেকেছেন।
গোকুলাম ম্যাচের পর সমর্থকদের রোষ দেখে সঞ্জিত এতটাই ভয় পেয়েছেন যে, বলতে শুরু করেছেন এই ব্যর্থতার মধ্যে তিনি কোনওভাবে জড়িত নন। দল তৈরি থেকে সবকিছু কোচ জানেন। ক্লাব কর্তারাও অবশ্য বসে নেই। গোকুলাম ম্যাচের পর ফের বেঙ্গালুরুতে ফোন করে কোয়েস কর্তাদের অনুরোধ করেন, কোচ নিয়ে ক্লাবের সঙ্গে আলোচনায় বসে অবিলম্বে বেশ কিছু ফুটবলার পরিবর্তন করে দলটাকে বাঁচাতে। বেঙ্গালুরু থেকে কোয়েস কর্তারা জানান, মোহনবাগান ম্যাচের পর তাঁরা কলকাতায় এসে কোচকে নিয়ে বসবেন। গোকুলাম ম্যাচে সঞ্জিতের নিগৃহীত হওয়া নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “সমর্থকদের অনুরোধ করব, আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। এখন সব ভুলে ডার্বি ম্যাচের দিকে তাকানো উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.