সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘড়ি কাঁটায় ঠিক রাত বারোটা। ভারতীয় সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠিক তখনই নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত বিখ্যাত টাইম স্কোয়্যারের ন্যাশডাক বিলবোর্ডে ভেসে উঠল মোহনবাগানের ছবি। পালতোলা নৌকা আর সবুজ-মেরুন রঙ ভেসে উঠল বিলবোর্ডের ডিজিটাল স্ক্রিনে। বিশ্বাস না হলেও, এটাই সত্যি। সুদূর মার্কিন মুলুকে ভারতের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের গৌরবগাথাকে সম্মান জানানো হল অভিনব ভাবে। তাও আবার গর্বের ২৯ জুলাইয়ে।
২৯ জুলাই মানেই মোহনবাগান ভক্তদের গর্বের সেই দিন। আবেগের সেই দিন। ব্রিটিশ ইস্ট ইয়র্কশায়ার ক্লাবকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড ঘরে তোলা। এ শুধু কোনও ট্রফি জয়ের আনন্দ নয়। এ যেন পরাধীন ভারতবর্ষের শাসক ব্রিটিশদের হারানো। স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়ে কোনও অংশে কম নয় এই আবেগ। ১৯১১ সালের ২৯ জুলাই সেই ইতিহাস রচনার দিনটা বাঙালি তথা মোহনবাগানিদের কাছে অত্যন্ত আবেগের দিন। যে দিনে মোহনবাগান তাঁবু সেজে ওঠে। কুর্নিশ জানানো হয় অমর সেই শিল্ডজয়ী একাদশকে। মোহনবাগান রত্ন দিয়ে পুরস্কৃত করা হয় কিংবদন্তিদের।
এবার করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী দিবস ভারচুয়ালি উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাবকর্তারা। কিন্তু মার্কিন মুলুকে আবেগের এই উদযাপনের ছবি নিঃসন্দেহে গোটা বিশ্বের প্রত্যেক মোহনবাগানিকে উদ্বুদ্ধ করবে। এমন দৃশ্য ক্লাবের ইতিহাসেও এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা করল। এক নতুন আবেগে ভেসে ঐতিহাসিক মোহনবাগান দিবস উজ্জ্বল হয়ে থাকল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.