স্টাফ রিপোর্টার: আই লিগের মতো আইএসএলেও (ISL) কমে গেল বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা। গত মরসুম পর্যন্ত ন্যূনতম ছ’জন বিদেশিকে সই করাতেই হত প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। তখন সর্বাধিক বিদেশি সংখ্যা ছিল সাত। এফএসডিএল সিদ্ধান্ত নিল যে, আগামী আইএসএলে সর্বাধিক বিদেশি সংখ্যা সাত থাকলেও ন্যূনতম বিদেশি সংখ্যা কমে পাঁচ হয়ে যাবে। এবং এই সাত বিদেশির মধ্যে একজন এশীয় কোটার হতেই হবে।
আইএসএলের দশটা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আলোচনার পর এফএসডিএল (Football Sports Development Limited) এই সিদ্ধান্তে আসায় অনেকে মনে করছেন, এফএফসির আইনকেই স্বীকৃতি দিচ্ছে আইএসএল। উল্লেখ্য, আই লিগের বিদেশি সংখ্যা আগেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২০–২১ মরশুম থেকে আই লিগে বিদেশির সংখ্যা পাঁচজন থেকে কমে গিয়ে চারজন হয়ে যাবে। এএফসির (AFC) নিয়ম মতো, চারজন বিদেশির একজনকে এশিয়ান কোটায় নিতে হবে। তবে খেলাতে হবে চারজনকেই।
এছাড়াও বুধবার নতুন মরশুমের আইএসএল নিয়ে আরও একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফএসডিএল। যেমন, ঠিক হয়ে গেল এবার থেকে আইএসএলে চিফ কোচ অথবা সহকারি কোচ যেই হোন না কেন, তাঁকে এএফসি ‘প্রো লাইসেন্স’ অথবা তার সমতু্ল্য কোনও ডিগ্রিধারী হতেই হবে। আগে যে রকম কোচের পদে রবার্তো কার্লোসদের মতো বড় নাম দেখলে এফএসডিএল কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তা পাশ করে দিত, এবার থেকে আর তা হবে না। একই সঙ্গে আরও একটা সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এখন থেকে প্রথম আঠারো জনের দলে একজন অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবলার রাখতেই হবে। এদিকে করোনার জেরে আগামী মরশুমে আইএসএল কবে শুরু হবে তা নিয়ে এখনও ধন্দে ফেডারেশন। সব মিলিয়ে দেশের ফুটবল মরশুম অন্য বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা দেরিতে শুরু হচ্ছে। ফেডারেশন সূত্রে খবর, ১৪ নভেম্বরের পর মাঠে নামতে পারে আইএসএলের দলগুলি। আই লিগের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.