সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় দল নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন সঞ্জয় সেন৷ রিজার্ভ বেঞ্চ বেশ নড়বড়ে৷ শুধু ভরসা ছিল আত্মবিশ্বাস৷ কিন্তু টাম্পাইন্সের বিরুদ্ধে শেষমেশ আর তা দিয়ে কাজ চালানো সম্ভব হল না৷ ফল যা হওয়ার তাই হল৷ এএফসি কাপের সফর শেষ মোহনবাগানের৷
মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে সিঙ্গাপুরের দলকে হারাতে পারলে এএফসি কাপের শেষ আটে পৌঁছে ইতিহাস গড়ত গঙ্গাপারের ক্লাব৷ কিন্তু মাঠে কাটসুমি-সোনির অভাবটা বারবার ঘুরে ফিরে চোখে পড়ল৷ আই লিগ থেকে ফেড কাপ, গোটা মরশুমে বাগানের প্রথম দল যে ঝড়ের গতিতে পারফর্ম করে গিয়েছে, তা অনস্বীকার্য৷ কিন্তু এসবের মধ্যে সঞ্জয় সেন হয়তো রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করে তোলার কথা ভুলেই গিয়েছিলেন৷ ফলে ঘরের মাঠেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে নেমে জয়টা কঠিন হয়ে পড়ল৷
এই দলকেই যুবভারতীতে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল বাগান৷ এদিনও নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তাদের আটকে রাখতে সফল হয়েছিলেন গ্লেন, কেন লুইসরা৷ কিন্তু এক্সট্রা টাইমে আর কুম্ভ রক্ষা করতে পারলেন না লুসিয়ানোরা৷ আফিক ইউনোসের গোলে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল টাম্পাইন্স৷ প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর ৬৩ মিনিটে জর্ডন ওয়েবের গোলে এগিয়ে যায় সফরকারী দল৷ বিক্রমজিতের লং শটের দুরন্ত গোলে সমতায় ফেরে বাগান৷ ৫৩ মিনিটে দু’টি হলুদ কার্ড (লাল) দেখে মাঠ ছাড়েন সিঙ্গাপুর ক্লাবের শাকির৷ তারপরও বিপক্ষের ডেরায় আক্রমণ শানাতে পারেননি সঞ্জয় সেনের ছেলেরা৷
সদ্য ফেড কাপ চ্যাম্পিয়নরা এএফসি-র শেষ আট পাকা করেই শহরে ফিরতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হল না৷ ফলে বুধবার ঘরে ফেরার আনন্দে যে একটু ভাটা পড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তবে শেষ আটে পৌঁছলেও চিন্তার ভাঁজ পড়ত বাগান কোচ ও কর্তাদের কপালে৷ কারণ কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ হবে সেপ্টেম্বর নাগাদ৷ সেই সময় দলের এক ঝাঁক ফুটবলারকে আইএসএল-এর জন্য ছেড়ে দিতে হবে৷ তাই এদিনের হারের সান্ত্বনা এটাই৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.