সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের ৬৮ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে। সেখান থেকে মাত্র ১৯ মিনিটের মধ্যে দুরন্ত কামব্যাক। ডুরান্ডের সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মোহনবাগানের। সমতা ফেরানোর পরে ম্যাচ গড়াল পেনাল্টি শুট আউটে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ হাসি হাসল মোহনবাগান। কোয়ার্টার ফাইনালের মতো ফের সবুজ-মেরুন শিবিরের ত্রাতা হয়ে উঠলেন বিশাল কাইথ। পরপর দুটি শট বাঁচিয়ে দলকে তুললেন ডুরান্ডের ফাইনালে।
ম্যাচের আগের দিন সবুজ-মেরুন কোচ মোলিনা জানিয়েছিলেন, দিমিত্রি পেত্রাতোস বা জেসন কামিংস পুরো ৯০ মিনিট খেলার মতো অবস্থায় নেই। কিন্তু বেঙ্গালুরু এফসির মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুই অস্ত্রকেই শুরু থেকে নামান মোলিনা। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বেঙ্গালুরুর কাছে। তার পর থেকে বেশ কয়েকটি সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের কাছেও। ২৭ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু।
ম্যাচের প্রথম গোল এল পেনাল্টি থেকে। লিস্টন কোলাসোর ফাউলে পেনাল্টি বক্সে পড়ে যান ভিনিথ। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি সুনীল ছেত্রী। এক গোলে এগিয়ে থেকে হাফটাইমে যায় বেঙ্গালুরু। বিরতির পরে দুরন্ত গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন ভিনিথ। ২-০ এগিয়ে থেকে ফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছিল বেঙ্গালুরু। ৬৮ মিনিট পরে এটাই ছিল ম্যাচের স্কোর।
তার পর থেকেই পালটাতে থাকে ম্যাচের রং। ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করেন দিমি। ৮৪ মিনিটে দূরপাল্লার শটে গোল করে সমতা ফেরালেন অনিরুদ্ধ থাপা। নির্ধারিত সময়ের পরে পেনাল্টি শুট আউটে প্রথম চারটি শটে গোল করেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। প্রথম তিন শটে পরাস্ত হন পালতোলা নৌকার শেষ প্রহরী বিশালও। তবে বেঙ্গালুরু হয়ে চতুর্থ পেনাল্টি নিতে আসা নার্জারির শট বাঁচিয়ে দেন। ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দলের পঞ্চম শট মিস করেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। শেষ মুহূর্তে ইভানোভিচের শট বাঁচিয়ে দলকে ফাইনালে তুললেন বিশাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.