স্টাফ রিপোর্টার: আগেই ঠিক ছিল, ২৯ জুলাই মোহনবাগান মাঠে অনুশীলন হবে ফেরান্দোর দলের। কিন্তু এদিন জানা গেল, মোহনবাগান দিবস (Mohun Bagan Day) থেকেই এই মরশুমের অনুশীলন শুরু করবে সবুজ-মেরুন।
অনুশীলন শুরু না হয় হবে। কিন্তু ডুরান্ড আর এএফসি কাপ মিলিয়ে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) যা সূচি, তাতে চাইলেও কলকাতা লিগ আদৌ খেলা সম্ভব কিনা, যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পুরো ব্যাপারটা দেখার জন্য আইএফএ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুই সহ-সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস এবং সৌরভ পালকে। আজ সোমবার কলকাতা লিগ খেলা নিয়ে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন স্বরূপ বিশ্বাস। তার আগে কলকাতা লিগে খেলার জন্য মোহনবাগানের অভিমত জানতে চিঠি দেওয়া হবে আইএফএ থেকে।
এদিনও মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত পরিষ্কার বললেন, “আগে স্কুলে ভাল ফল করার জন্য বৃত্তি দেওয়া হত। মোহনবাগানের সেখানে এএফসি কাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার পরও শাস্তির হুমকি শুনতে হচ্ছে। আমরা তো আশা করেছিলাম, প্রস্তুতির জন্য আইএফএ সবরকম ভাবে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেবে।”
২৯ জুলাই থেকে অনুশীলন শুরু। ১৬ আগস্ট থেকে খেলতে হবে ডুরান্ডে। তারপর এএফসি। সব মিলিয়ে কলকাতা লিগে খেলার সময় কোথায়? এদিকে, গভর্নিং বডির সভায় গিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা কলকাতা লিগ খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও, আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) দল নামানো নিয়েও প্রচুর সমস্যা।
ইমামির সঙ্গে চুক্তি হলে, তখন ফুটবলের পুরো সিদ্ধান্তটাই নেবে নতুন কোম্পানি। এই মুহূর্তে যা খবর, তাতে ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামি দু’পক্ষই চুক্তির শর্তে রাজি। কিন্তু তারপরেও আইনি কাগজপত্র তৈরি করতে একটা দীর্ঘ সময় লাগবে। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “মোহনবাগানের চুক্তির কাগজপত্র তৈরি করতে ৫—৬ মাস লেগেছিল। আইনি কাগজপত্র তৈরি করতে ইমামির কিছুদিন সময় লাগবে, এটাই তো স্বাভাবিক।’’
ইমামির পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, এত কোটি টাকার একটা চুক্তি। তাড়াহুড়ো করে কিছু করা সম্ভব নয়। ইমামির অন্যতম ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল এই মুহূর্তে ইতালিতে। ফিরবেন সাতদিন পর। এদিন ইতালি থেকে ফোনে আদিত্য আগরওয়াল বললেন, “আমার দেশে না থাকার জন্য কাজ থেমে নেই। চুক্তির কাগজপত্র তৈরি চলছে।”
অর্থাৎ, ঠিক কবে ইস্টবেঙ্গল-ইমামির চুক্তির কাগজপত্র তৈরি হবে কেউ নিশ্চিত নন। তবে বেসরকারি ভাবে ফুটবলারদের সই করানোর আলোচনা কিন্তু যতক্ষণ না সরকারি ভাবে চুক্তি হচ্ছে, কারও সঙ্গেই সরকারি ভাবে কথা বলছেন না কেউ।
লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষ চাইছে, চুক্তির কাগজপত্র যেভাবে তৈরি হচ্ছে হোক। পাশাপাশি ফুটবলারদের সই করানোর প্রক্রিয়াটা সমানভাবে চলুক। তাহলে যেদিন সরকারি ভাবে চুক্তির ব্যাপারটি ঘোষণা হবে, সঙ্গে সঙ্গে কোচ-ফুটবলারদের শহরে এনে অনুশীলনের কাজটা শুরু করা যাবে। কিন্তু ইমামির কর্তারা যতক্ষণ না চুক্তিপত্রে সই হচ্ছে, কোচ-ফুটবলার সইয়ের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না তাঁরা।
সেক্ষেত্রে তাঁদের যুক্তি হল, দলটা কখন, কোন পরিস্থিতিতে নেওয়া হচ্ছে সবাই দেখতে পাচ্ছেন। তাই চুক্তির প্রথম বছরে নিশ্চয়ই সবাই ব্যাপারটা সহানুভূতির সঙ্গেই দেখবেন। অর্থাৎ, বিদেশি কোচ—ফুটবলার সই হওয়ার পর ভিসা নিয়ে তাঁরা শহরে আসবেন। তারপর প্রি সিজন ট্রেনিং শুরু হবে। আর তারপরেই কলকাতা লিগে খেলা।
এদিকে, কলকাতা লিগে প্রিমিয়ার ডিভিশন ‘এ’ গ্রুপের খেলা শুরু হবে ২০ জুলাই থেকে। সেক্ষেত্রে প্রস্তুতির জন্য ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানকে প্রস্তুতির জন্য হয়তো কিছুটা সময়ও দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই সময়টা কতটা পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব? মোহনবাগানের দল তৈরি থাকলেও, ইস্টবেঙ্গলের তো দলটাই তৈরি হয়নি। তাই গভর্নিং বডির মিটিংয়ে এসে লাল-হলুদ কর্তা যতই বলে যান, ইস্টবেঙ্গল এই মরশুমে কলকাতা লিগে খেলবে, কিন্তু কবে দল নামানো সম্ভব হবে, লিগ শুরুর দশদিন আগেও কেউ বলতে পারছেন না। দেবাশিস দত্ত বললেন, “যারা আমাদের প্রতিপক্ষ, তাদের ফুটবলাররা মরশুম শেষ করে দীর্ঘদিন বিশ্রামে। আমাদের ফুটবলাররা শেষ ম্যাচ খেলেছে ২৪মে’। এখনও একমাসও ঠিকভাবে বিশ্রাম পায়নি। ফলে আমাদের সমস্যাগুলি আইএফএ নিশ্চয়ই আলাদা করে ভাববে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.