স্টাফ রিপোর্টার: থমকে দাঁড়ালেন। মন দিয়ে সবিস্তার শুনলেন। তারপর যথারীতি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মুচকি হাসি হেসে এগিয়ে গেলেন কিবু ভিকুনা। কি শুনলেন? ইন্ডিয়ান অ্যারোজ দলকে উদ্বুদ্ধ করতে কল্যাণীতে গিয়েছেন সুভাষ ভৌমিক। সঙ্গে জুনিয়র ফুটবলারদের আদর্শ হিসাবে রাখা হয়েছিল দীপক মণ্ডলকে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে এভাবেই দলকে চাঙ্গা করলেন ইন্ডিয়ান অ্যারোজ কোচ ভেঙ্কটেশ।
সুবিধে হবে কিছু? মনে হয় না। শীতের মরশুমি ফুলের সমাহার এখন বাগানে। সেই ফুলের রূপ, রস, গন্ধে বাগান এখন ম ম করছে। রিয়াল কাশ্মীরকে হারানোর পর দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। তাই সুভাষ, দীপক যেই যাক তাকে নিয়ে ভাববে কেন মোহনবাগান? তার উপর ইন্ডিয়ান অ্যারোজ (Indian Arrows) হল ভারতের ভবিষ্যতের কান্ডারি বাহিনী। যুব দল। কোনও বিদেশি নেই। লিগ টেবিলে যাদের অবস্থান ১১টা দলের মধ্যে সবচেয়ে নিচে। ৫ ম্যাচ খেলে পয়েন্ট চার। বলার মতো শুধু একটাই, চার্চিলকে গোয়ার মাটিতে হারিয়েছে অ্যারোজ।
ভিকুনা চিন্তিত। মনে হল কথার কথা বলছেন না। চিন্তিত হওয়ার কারণ যা যা বললেন তা মোটেই ফেলে দেওয়া যায় না। “ম্যাচটা বেশ কঠিন। কেন জানেন? এই দলটা কখন কী করে দেবে কেউ জানে না। হয়তো আজ খারাপ খেলল। সুবিধে করতে পারল না। পরের ম্যাচে এমন খেলা খেলবে যা ভাবতেই পারবেন না। আসলে ওদের হারানোর কিছু নেই। চাপহীন দল সবসময় মারাত্মক। তাই ওই দলকে নিয়ে সত্যি আমি চিন্তিত।” সাংবাদিকদের সঙ্গে একটানা কথাগুলো বলে গেলেন ভিকুনা। কল্যাণীতে চার্চিলের কাছে চার গোল খেয়েছিল বাগান। সেই চার্চিলকে হারিয়েছে অ্যারোজ। আবার পাহাড়ে গিয়ে প্রতিকূল পরিবেশে কাশ্মীরকে হারিয়ে এসেছে মোহনবাগান। তাই কপালে ভাঁজ পড়াটাই ভিকুনার কাছে স্বাভাবিক।
দলে পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। অর্থাৎ কাশ্মীরের দলকেই ধরে রাখতে চান ভিকুনা। বিকেলে প্র্যাকটিসে তেমনই দেখা গেল। প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের প্র্যাকটিসে ভিকুনা প্রথম একাদশ গড়ে যা খেলালেন তাতে একটা ব্যাপার খুব স্পষ্ট, একই দলকে রেখেই চাপে ফেলতে চান অ্যারোজকে। বুধবার তুরসুনভ সই করে প্র্যাকটিস শুরুর প্রায় মিনিট ৪৫ পরে নামলেও প্রথম একাদশে থাকছেন না। আসলে পরের ম্যাচ যে ডার্বি। তার মহড়া এই ম্যাচেই তো সারতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.