ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে পয়লা বৈশাখ বারপুজোর শুভ মুহূর্তে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল নতুনভাবে সেজে ওঠা মোহনবাগান তাঁবুর। কিন্তু সেনার কাছ থেকে অনুমতি আসতে দেরি হওয়ার জন্যই দশ দিন আগে নতুন ভাবে তাঁবু তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের আশা, মাস দেড়েকের মধ্যেই নতুন ভাবে গড়ে উঠবে শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগান (Mohun Bagan) তাঁবু। একই সঙ্গে চুনী গোস্বামীর নামাঙ্কিত মূল গেটটিও। যে কোনওদিন মোহনবাগান তাঁবুতে গেলেই এখন চোখে পড়বে ইট, বালি, সিমেন্টর স্তূপ। তাঁবুর ভিতর গড়ে উঠছে নতুন ইমারত।
কেমন হবে মোহনবাগানের এই নতুন তাঁবু? একদিকে ক্লাবের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য। অপরদিকে আধুনিক মনস্ক মানুষের মনের মতো চাহিদা। ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, “সদস্য—সমর্থকদের চাহিদা মতোই ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেলে গড়ে উঠছে মোহনবাগান তাঁবু। ঠিক কী রকম হবে, তা নিয়ে মারাত্মক চমক রয়েছে। ফলে সব কিছু এই মুহূর্তে আমরা খুলে বলছি না। এটুকু বলতে পারি, নতুন তাঁবুর ভিতরে ঢুকলে যে কেউ চমকে যাবেন। খুঁজে পাবেন মোহনবাগানের সুদীর্ঘ ইতিহাসকে। সঙ্গে আধুনিক ভাবে সাজানো ক্লাব। শহরের অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে আমাদের সবার প্রিয় মোহনবাগান তাঁবু।”
নতুন ভাবে ঝাঁ চকচকে তাঁবু তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রখ্যাত স্থপতি আবিন চৌধুরিকে। যাঁর হাতে তৈরি কলকাতার প্রচুর বিখ্যাত ইমারত। অনেক শিল্পপতির বাড়িও তৈরি করেছেন আবিন চৌধুরি। এই প্রখ্যাত স্থাপত্যবিদকে যে মুহূর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখনই পরিস্কার হয়ে যায়, মোহনবাগান যে তাঁবু করতে চলেছে, তাতে শুধু নতুনত্বর ছোঁয়া থাকবে এরকমটা নয়। তা শহরের অন্যতম আকর্ষনীয় স্থান হতে চলেছে। শুধু যে তাঁবুতেই নতুনত্বের ছোঁয়া থাকছে এরকমটা নয়। চুনী গোস্বামীর স্মরণসভায় ঠিক হয়, ক্লাবে প্রবেশের মূল গেটটি হবে প্রয়াত চুনী গোস্বামীর নামে। দেবাশিস দত্ত বললেন, “এমন গেট হচ্ছে, মোহনবাগান ক্লাবের সামনে থেকে যাওয়ার সময় মানুষ দাঁড়িয়ে ক্লাবের গেট নিয়ে ছবি তুলে রাখবে।”
৬ হাজার স্কোয়ারফুটের উপর ক্লাব তাঁবুর ভেতরে দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে। কিন্তু তাঁবুর নকশা নিয়ে একদম মুখে তালা সবার। কোনদিকে যে কি হচ্ছে, জানার উপায় নেই। শুধু এটুকু জানা যাচ্ছে, দেড় মাসের মধ্যে যে তাঁবু মোহনবাগান কর্তারা উপহার দেবেন, তা শহরের অন্যতম আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। মোহনবাগান অর্থসচিব বললেন, “আর তো কিছু দিন। মোহনবাগান সমর্থকরা আরেকটু ধৈর্য্য ধরে বসুন না। তারপর তো দেখতেই পাবেন, কী তাঁবু আমরা উপহার দিচ্ছি।”
এদিকে, প্রত্যাশামতোই ২৬ এপ্রিল থেকে কলকাতায় এটিকে মোহনবাগানের আবাসিক শিবির হবে। তার জন্য ২৫ এপ্রিল কলকাতায় চলে আসছেন হাবাস। যা আগেই সংবাদ প্রতিদিন—এ প্রকাশিত হয়েছিল। কলকাতায় করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকার অনেক আগের থেকেই কোচ হাবাস চাইছিলেন, এএফসি কাপের ম্যাচ খেলার আগের থেকেই মালদ্বীপে শিবির শুরু করতে। এটিকে মোহনবাগানকে যেহেতু এএফসি কাপের ম্যাচ মালদ্বীপে খেলতে হবে, তাই সেখানে আবাসিক শিবির হলে সরাসরি ম্যাচ খেলতে সুবিধা হবে। তাতে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই শুধু নয়। মালদ্বীপে যেহেতু করোনা পরিস্থিতি ভাল, করোনা আবহ থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতেও সুবিধা হবে। তারপর থেকে টানা এএফসি এবং মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে আবাসিক শিবিরের জন্য চিঠি পাঠানো হলেও কোনও উত্তর আসেনি। ফলে কলকাতায় আবাসিক শিবির করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.