সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবিক রূপ এটিকে-মোহনবাগানের (ATK-Mohun Bagan) তারকা ফুটবলার প্রীতম কোটালের। কঠিন সময়ে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের ফুটবলার নাবিব নেওয়াজের পাশে। হাঁটুর চোট নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছেন নাবিব। শনিবার কলকাতার এক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। মহামারীর আবহে ভিন দেশে এসে বেশ বিপদেই পড়ে গিয়েছিলেন নাবিব। কিন্তু অসময়ে দেবদূতের মতো তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রীতম কোটাল। বাংলাদেশি স্ট্রাইকারের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করে দিয়েছেন প্রীতমই।
বাংলাদেশে নাবিব নেওয়াজ (Nabib Nawaz) খেলেন স্ট্রাইকার হিসেবে। আর প্রীতম এদেশের পোড়খাওয়া ডিফেন্ডার। খেলার মাঠে দু’জনের সখ্যতা একেবারেই সম্ভব নয়। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রীতম যেভাবে নাবিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা কোনও নিকটাত্মীয়ও করে না। প্রীতমের (Pritam Kotal) এই আচরণে মুগ্ধ নাবিব। বাংলাদেশের এই তারকা ফুটবলার এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমি কলকাতায় কাউকে চিনি না। শুরু থেকেই প্রীতম আমার খেয়াল রেখেছে। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে অন্যান্য ব্যবস্থা সবটাই করেছে। পাশাপাশি অস্ত্রোপচারের দিন ও তার পরের দিনও আমার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছে।” শনিবার অস্ত্রোপচারের পর থেকে শহরের এক হোটেলেই আছেন নাবিব। এখন তাঁর চিন্তা বাড়ি ফেরা নিয়ে। আগামী বুধবার দেশে ফেরার কথা বাংলাদেশের এই স্ট্রাইকারের। কিন্তু সেদেশে এখন লকডাউন। করোনার জন্য বন্ধ প্রায় সবকিছুই। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরবেন কীভাবে? চিন্তায় রয়েছেন নাবিব। তবে, প্রীতম তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, ঠিক কিছু একটা করে তাঁর বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেবেন। বাংলাদেশি স্ট্রাইকারের বাড়ি ফেরা নিয়ে প্রীতমের বক্তব্য, ‘‘দেখি কীভাবে নাবিবকে ওর দেশে ফেরানো যায়। একটা ব্যবস্থা তো করতেই হবে।’’
আসলে, বাংলাদেশের আরেকজন ফুটবলার রায়ানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে এটিকে-মোহনবাগান তারকার। রায়ানের মাধ্যমেই প্রীতমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন নাবিব। প্রীতমকে জানিয়েছিলেন, কলকাতার কিছুই তিনি চেনেন না। তখনই বাংলাদেশের স্ট্রাইকারকে আশ্বস্ত করেন ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার। চিকিৎসকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে, তাঁর সব চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন। সবুজ-মেরুন তারকা বলছিলেন, ‘‘যে দেশেরই ফুটবলারই হোক, আগে তো ও একজন মানুষ। তাই সাহায্য করার আগে দু’বার ভাবিনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.