Advertisement
Advertisement
Remove ATK

মোহনবাগানের নাম থেকে ‘এটিকে’ সরাতে চান সহ-সভাপতি কুণাল, গোয়েঙ্কার সঙ্গে আলোচনা করবে নতুন কমিটি

মোহনবাগানের রাজনীতিকরণের অভিযোগের সাফ জবাব নতুন সহ-সভাপতির।

Mohun Bagan executive committee set to demand removal of 'ATK' from club name | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 2, 2022 1:47 pm
  • Updated:April 2, 2022 1:47 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: চুক্তির প্রথম দিন থেকে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের দাবি, ফুটবল দলের দায়িত্ব সঞ্জীব গোয়েঙ্কার হাতে থাকলে সমস্যা নেই। কিন্তু মোহনবাগানের (Mohun Bagan) নামের সামনে থেকে ‘এটিকে’ নাম সরাতে হবে। মোহনবাগান তাঁবুতে বসে সমর্থকদের সুরেই এদিন একই কথা বললেন, ক্লাবের নতুন সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ।

সহ-সভাপতি মনোনীত হওয়ার পর শুক্রবার মোহনবাগান তাঁবুতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ, সাংবাদিক কুণাল ঘোষ। ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত সবুজ-মেরুন উত্তরীয় পরিয়ে দেন নতুন সহ-সভাপতিকে। ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ছিলেন কার্যকরী কমিটির অন্য সদস্যরাও। সেখানেই কুণাল ঘোষের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান এটিকে মোহনবাগানের প্রসঙ্গ। নতুন সহ-সভাপতি বলেন, “ছোটবেলা থেকে পতাকা নিয়ে মোহনবাগানে আসি। আমার দাদু, বাবা সবাই মোহনবাগান সদস্য ছিলেন। আমার প্রাণের ক্লাব যখন আই লিগে নির্বাসনের মুখে, সেই সময় প্রাক্তন দুই ফুটবলার বিদেশ বোস এবং মানস ভট্টাচার্যকে নিয়ে ছুটে গিয়েছিলাম দিল্লির ফুটবল হাউসে। ফেডারেশন (AIFF) সচিব কুশল দাসের হাতে দু’লক্ষ সমর্থকের আবেদন তুলে দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম, নির্বাসন না দিতে। এর আগে ক্লাবের নির্বাচনে সচিব পদেও মনোনয়ন দিয়েছিলাম। টেকনিক্যাল কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। ফলে আমি আদ্যোপান্ত মোহনবাগানি। সহ-সভাপতির পদ সরিয়ে রেখে অন্য সমর্থকদের মতো আমিও চাই মোহনবাগান নামের আগের থেকে এটিকে নামটা সরে যাক। কারণ, এটিকে হচ্ছে অন্য আরেকটি ক্লাব। সহ-সভাপতি হিসেবে ক্লাব সচিব সহ নতুন কমিটিকে অনুরোধ করব, কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে এই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করতে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ খেলা হবে ‘আল-রিহলা’ নামের বলে, জানেন এর বিশেষত্ব?]

এর পাশাপাশি কুণালবাবু বলেন, “ফুটবলকে ঘিরে বাস্তব পরিস্থিতি অস্বীকার করলেও চলবে না। এখন আইএসএল খেলতে গেলে বড় বিনিয়োগকারী দরকার। সেক্ষেত্রে বাংলার অন্যতম গর্ব সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো একজন মানুষ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু এরই পাশাপাশি তাঁকে অনুরোধ করব, সমর্থকদের আবেগকেও গুরুত্ব দিতে। দেবাশিস দত্তর নেতৃত্বে নতুন কমিটিকেও ধন্যবাদ দেব। চুক্তির প্রথম দিন থেকেই সমর্থকরা এই ব্যাপারটিকে নিয়ে সরব হলেও, নতুন কমিটি কিন্তু দায়িত্বে এসেই সমর্থকদের এই আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারিভাবে স্বীকার করেছে যে, আলোচনা করা উচিত। বিনিয়োগকারীর স্বার্থ অবশ্যই দেখতে হবে। তবুও সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এবং নতুন কমিটির সদস্যদের অনুরোধ করব, আলোচনায় বসে সমর্থকদের আবেগের দিকটা ভেবে একটা সমাধানের পথে আসতে।”

অতীতেও মোহনবাগান কমিটিতে একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দেখা গেলেও এবারই হঠাৎ করে কথা উঠছে, কমিটিতে একাধিক রাজনৈতিক মুখ। সংবাদমাধ্যম এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে কুণাল ঘোষ সরাসরি বলেন, “দুই প্রধান যখন আইএসএল (ISL) খেলতে পারছিল না, বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয় মোহনবাগানের দেবাশিস দত্ত (Debasish Dutta), সৃঞ্জয় বোসের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের দেবব্রত সরকারকে আলোচনায় ডেকে পাঠিয়ে ছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে আইএসএল খেলানোর ব্যবস্থা করবেন। আমরা তখন কোনওরকম প্রতিবাদ করিনি তো। কারণ, সব মোহনবাগানিই (Mohun Bagan) চাইছিল, ক্লাব আইএসএলে খেলুক। কেন্দ্রীয় সরকার যদি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলে খেলার জন্য সাহায্য করত, তার থেকে ভাল কিছু ছিল না। তার পরিবর্তে উনি ছবি তুলে প্রচার নিয়ে চলে গেলেন। ক্লাবকে ভালবাসলে নিশ্চয়ই সাহায্য করতেন। পরে আইএসএল খেলার জন্য মোহনবাগান এটিকের (ATK) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় এগিয়ে এসে ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএল খেলানোর ব্যবস্থা করেছেন। এটা অন্যায়? বিজয় বর্গীয় যখন আইএসএল খেলানোর জন্য মিটিং করছিলেন, তখন স্বপন বন্দ্যেপাাধ্যায়, কুণাল ঘোষরা কোনও আপত্তি জানাননি তো? আমাদের কমিটিতে সোমেশ্বর বাগুই রয়েছেন। তিনি তো কংগ্রেস করেন। অঞ্জন মিত্রর (Anjan Mitra) মেয়ে সোহিনী কার্যকরী কমিটিতে না থাকলেও আমাদের সঙ্গেই আছেন। তাঁরও অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। মোহনবাগানে বিভিন্ন রাজনৈতিক মনোভাবাপন্ন মানুষ থাকতেই পারেন। আসলে দেখতে হবে, তাঁদের মোহনবাগান প্রেম। আমি তৃণমূল করি বলে মোহনবাগানের সমর্থক হতে পারব না?”

[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ড্রয়ের মঞ্চে যুদ্ধ বন্ধের ডাক, সহজ গ্রুপে মেসি-নেইমার, একনজরে পূর্ণাঙ্গ তালিকা]

মোহনবাগান সভাপতির প্রসঙ্গ উঠলে সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, “১৮ এপ্রিল আমাদের কার্যকরী কমিটির সভা আছে। সেখানে এসব নিয়ে আলোচনা হবে। আর সভাপতির বিষয়টা কার্যকরী কমিটির সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।” সভাপতি পদে টুটু বোসের (Tutu Bose) নাম নিয়ে কথা উঠলে, সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ বলেন, “টুটু বোসকে কোনও পদ দিয়ে বিচার করা যায় না।” এটিকে মোহনবাগানের প্রসঙ্গ উঠলে দেবাশিস দত্ত বললেন, “সঞ্জীব গোয়েঙ্কা যেভাবে ফুটবল দল গড়ছেন, তাতে আমরা সবাই খুশি। একই সঙ্গে নাম যেহেতু সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, তাই আমরা আশাবাদী কিছু একটা হবে। কারণ, ওনার বাবা লাইফ মেম্বার। উনি নিজে পাঁচ বছর বয়স থেকে মোহনবাগানের সদস্য। ফলে আমরা আশাবাদী, কিছু সমর্থকের কষ্টর কথা উনি অনুভব করবেন।”

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement