সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার শুরু আই লিগের লড়াই। অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়েই লিগ শুরু করতে চলেছে ময়দানের দুই প্রধান। তবে মাঠে বল গড়ানোর আগে নানা সমস্যায় জর্জরিত মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল।
গোকুলামকে হারিয়ে জয়ের শপথ নিয়ে ফেলেছে মোহনবাগান। যদিও উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে মোটেই ভাল ব্যবহার করা হয়নি। ঠিক ছিল, শুক্রবার মূল স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করতে দেওয়া হবে ডিকাদের। গতকাল রাত পর্যন্তও তেমনই জানতেন কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী। কিন্তু এদিন সকালে সংগঠকদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাদের পক্ষে কোঝিকোড়ের মূল স্টেডিয়াম দেওয়া সম্ভব নয়। সবুজ-মেরুন শিবিরের পক্ষ থেকে টিম ম্যানেজমেন্ট জানতে চেয়েছিল, মাঠ না দেওয়ার পিছনে মূল কারণ কী? উত্তরে গোকুলামের তরফে বলা হয়েছে, মাঠ এখনও প্রস্তুত নয়। তাই মাঠ দেওয়া সম্ভব নয়। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, খেলার ২৪ ঘণ্টা আগে যদি মাঠ প্রস্তুত না হয় তাহলে ম্যাচ খেলা হবে কী করে? তাছাড়া বহিরাগত দলকে মূল স্টেডিয়ামে একদিন প্র্যাকটিস করতে দেওয়াই উদ্যোক্তা দলের অন্যতম শর্ত। ফলে মোহনবাগান ক্ষুব্ধ। দলের সঙ্গে যাওয়া ডাক্তার প্রতিম রায় তো বলেই ফেললেন, “দলের পক্ষে ভাল হল না। যতই হোক মূল স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করলে ফুটবলাররা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। অথচ আমরা সেখানে প্র্যাকটিস করতে পারলাম না। এখানে আসার পর আমাদের বলা হয়েছিল, ম্যাচের আগের দিন সকালে প্র্যাকটিস করতে দেওয়া হবে। কিন্তু এদিন জানানো হল, তাদের পক্ষে মাঠ দেওয়া সম্ভব নয়।”
সমস্যা মাথায় নিয়েও প্র্যাকটিসে খামতি রাখেনি মোহনবাগান। কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী পুরো দলবল নিয়ে সোজা চলে যান সেন্ট জোসেফ কলেজের মাঠে। সেখানেই ঘণ্টা দেড়েক প্র্যাকটিস সেরে তাঁরা ফিরে আসেন হোটেলে। গোকুলাম যে তাঁদের হারাতে প্রস্তুত তা ভাল মতোই জানেন শংকরলাল। তাই এদিন বলেই ফেললেন, “জানি আমাদের সহজে জিততে দেবে না গোকুলাম। তবে আমরা মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত। জানি কীভাবে কেরলের মাটিতে জয় ছিনিয়ে নিয়ে যেতে হয়।” ঘরোয়া লিগ জয়ের দলকেই খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোহনবাগান কোচ। ব্যতিক্রম শুধু ওমর। ফরোয়ার্ড লাইনে ডিকা-হেনরির পিছনে গোলের বল সাপ্লায়ার হিসাবে ওমরকে ধরে রাখা হয়েছে। গোকুলাম আবার দুই বিদেশি রাখছে ডিফেন্সে।
একদিকে যখন মাঠ নিয়ে ক্ষুব্ধ ঠিক তখনই অন্যরকম সমস্যা লাল-হলুদ শিবিরে। ঘরোয়া লিগের ব্যর্থতা মুছে ফেলতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। আই লিগে তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ গতবার রানার্স আপ নেরোকা এফসি। গতবার ইস্টবেঙ্গল শেষ করেছিল তৃতীয় স্থানে। তাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীর লড়াই নিয়ে উৎসাহ তুঙ্গে ইম্ফলে। চোট পাওয়া আমনা প্রথম ম্যাচে খেলবেন কি না এখনও ঠিক নেই। ফলে এনরিকের দিকেই তাকিয়ে লাল-হলুদ সমর্থকরা। এনরিকের সঙ্গী হবেন জবি জাস্টিন। তাছাড়া প্রত্যেককে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে গিয়ে প্রথম একাদশ গড়া নিয়ে এখনও সংশয়ে কোচ আলেজান্দ্রো মেনেনডেজ। আর ইম্ফল মানেই ঠান্ডার প্রকোপ। ফলে সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল। তাই শুরুটা কেমন হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। গতবার দু’দলের সাক্ষাতে দুবারই ড্র হয়েছিল। গতবার ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠের মূল অস্ত্র ছিলেন কাটসুমি। এবার তিনি নেরোকার প্রধান হয়ে ইস্টবেঙ্গলের ঘুম কাড়ার চেষ্টা করবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.