সুলয়া সিংহ: ‘সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল…’ বাঙালির এই ফুটবল আবেগকে সম্মান দিতে এবার ময়দানের তিন প্রধানকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান (Mohun Bagan) এবং মহামেডানকে (Mohammedan SC) বঙ্গবিভূষণ সম্মান দিতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৫ জুলাই নজরুল মঞ্চে ওই সম্মান দেওয়া হবে। আসলে বাংলার ক্রীড়াক্ষেত্রে এই তিন ক্লাবের অবদানই অনস্বীকার্য। আর শুধু ক্রীড়াক্ষেত্র কেন, বাংলার সামাজিক ইতিহাসেরও অনন্য মাইলফলক এই তিন ক্লাব।
মোহনবাগান ক্লাবকে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে চেয়ে সভাপতি টুটু বোসকে (Tutu Bose) চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে লেখা হয়েছে, “মোহনবাগান ক্লাব বাঙালির কাছে আবেগের নাম। শুধু ফুটবল নয়, ক্রীড়াক্ষেত্রের বিভিন্ন ধারায় মোহনবাগানের অবদান অনস্বীকার্য। মোহনবাগান ক্লাব শুধু বাঙালির কাছে নয়, সমগ্র ভারতবাসীর কাছে গৌরবের স্থানে দখল করেছে।”
এরপরই ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “ক্রীড়াক্ষেত্রে সার্বিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আগামী ২৫ জুলাই নজরুল মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মোহনবাগান ক্লাবকে বঙ্গবিভূষণ (Banga Bibhushan) সম্মাননা প্রদান করতে আগ্রহী। এ বিষয়ে আপনার সানুগ্রহ সম্মতি প্রত্যাশা করি।” একই রকম চিঠি পৌঁছেছে মহামেডান এবং ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) কর্তাদের কাছেও।
আসলে ময়দানের তিন প্রধান মানেই আবেগ, অগণিত সমর্থকের শ্রদ্ধা, ভালবাসার পীঠস্থান। তিন প্রধানের প্রতি অসংখ্য সমর্থকের এই আবেগকে মর্যাদা দিতেই শতাব্দীপ্রাচীন এই ক্লাবগুলিকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান দিতে চায় রাজ্য সরকার। এই বঙ্গবিভূষণ সম্মান এতদিন দেওয়া হত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতি ব্যক্তিত্বদের। এর আগে এই সম্মান পেয়েছেন অমলা শঙ্কর, মহাশ্বেতা দেবী, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুপ্রিয়া দেবী, মান্না দে, শৈলেন মান্নাদের মতো ব্যক্তিত্বরা। সম্ভবত এই প্রথম কোনও প্রতিষ্ঠান ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান পাচ্ছে। অবশ্য, সেই অর্থে ফুটবলপাগল বাঙালির কাছে এই তিন প্রধান মোটেই কোনও প্রতিষ্ঠান মাত্র নয়। তারা ‘জীবন্ত’। তারা ‘রক্তমাংসের’। যে অস্তিত্ব বয়ে চলেছে বাংলা ও বাঙালির শিরায় শিরায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.