ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরশুমের প্রথম ডার্বিতে হার। শুধু হার নয়, স্রেফ অসহায় আত্মসমর্পণ। মোহনবাগান সমর্থকদের মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, কেন এমন হল? অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই কি ডুবিয়ে দিল মোহনবাগানকে? হেরে মোহনবাগান (Mohun Bagan) কোচ জুয়ান ফেরান্দো বলছেন, “সমর্থকদের জন্যে এই ফলাফল দেখে খারাপ লাগছে। কিন্তু আমার কাছে খুব একটা হতাশার জায়গা নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য এএফসি কাপ।”
গোটা ম্যাচে মোহনবাগান দল হিসাবে খেলেছে বলে মনে হয়নি। ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেন ডার্বির আগে অন্তত একটা ম্যাচে পুরো দল নামিয়ে টিম সেট করলেন না ফেরান্দো? ম্যাচটার নাম যখন ডার্বি! মোহনবাগানের মাঝমাঠ তো তেমন নজরই কাড়তে পারল না। শেষের দিকে জুয়ান মাঝমাঠ নয়, বেশি নজর দিলেন আক্রমণভাগের দিকে। এতে মাঝমাঠের সঙ্গে সংযোগটা যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল আক্রমণভাগের। ম্যাচের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দোকে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। দলের এই পারফরম্যান্সের জন্য ঠাসা ক্রীড়াসূচিকেই অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করেছেন তিনি। সবুজ-মেরুন কোচ বলছিলেন, এক টানা ম্যাচ খেলতে হচ্ছে মোহনবাগানকে। কলকাতা লিগ, ডুরান্ড চলার মাঝেই খেলতে হচ্ছে এএফসি কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। দু’দিন অন্তর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। অনেক সময় মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে।
তবে হারের কারণ হিসাবে ইস্টবেঙ্গলের ভাল পারফরম্যান্সকে কৃতিত্ব দিয়েছেন ফেরান্দো। সবুজ-মেরুন কোচ বলছিলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল খুব ভাল খেলেছে। গোলটার পর আমারা ভাল খেলিনি। আমরা এই হার থেকে শিক্ষা নিচ্ছি। সেটা নেওয়া প্রয়োজনও। সত্যিই হতাশ লাগছে। সামনেই এএফসি কাপ। এদিন চোটের ঝুঁকি ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চোট লাগেনি কারও। এখন আমাদের এটা ভুলে আগামীর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ধীরে ধীরে উন্নতি করতে হবে।”
কিন্তু জেসন কামিংস (Jason Cummings), পেত্রতোসদের কেন শুরু থেকে খেলালেন না তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে ফেরান্দো বলেন, “চোটের ঝুঁকি ছিল। আমি বাকি খেলোয়াড়দের দেখে নিতে চেয়েছিলাম। হাতে মাত্র দু’সপ্তাহ সময় পেয়েছিলাম। প্রতি দু’তিন দিন অন্তর একটা ম্যাচ খেলতে হয়েছে আমাদের। অনেক টুর্নামেন্ট সামনে। চোটের ঝুঁকি এড়াতেই খেলাইনি। ” বুধবার এএফসি কাপের (AFC Cup) ম্যাচে নামতে চলেছে মোহনবাগান। এখন সেদিকেই তাকিয়ে ফেরান্দো। তাঁর বক্তব্য,”ভেবে দেখুন, দু’দিন পরেই আমাদের কলকাতা লিগে ম্যাচ। তার দু’দিন পরে এএফসি কাপ। তার পরেই আবার ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। এত গুলো ম্যাচে খেলানোর জন্যে ফুটবলার খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। সবাইকে সব ম্যাচে খেলানো যাবে না। তাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সবাইকে খেলাতে হবে। এত কিছুর পরেও বলছি, আমাদের আসল লক্ষ্য এএফসি কাপ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.