টিসি স্পোর্টস: ০
মোহনবাগান: ২ (সাইরাস, চামোরো)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ম্যাচে আনকোড়া তরুণ দলের কাছে লজ্জার হারের পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল মোহনবাগানকে। মাত্র বছর পাঁচেকের একটি দল ১৩০ বছরের ক্লাবকে মাটি ধরিয়ে চমকে দিয়েছিল বিশ্ব ফুটবল মহলকে। সেই ম্যাচে বাগান ডিফেন্সের কঙ্কালসার চেহারাটা যেন আরও প্রকট হয়ে উঠেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই পুরনো ভুল শুধরেই মাঠে নেমেছিলেন কিবু ভিকুনার ছেলেরা। আর তাতেই এল সাফল্য। মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের বিরুদ্ধে দলগতভাবে ভাল পারফর্ম করে ঘুরে দাঁড়ালেন বেইতিয়ারা।
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণ শানিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার স্ট্র্যাটেজি ছিল মোহনবাগানের। ফলে গোলমুখ খুলতে বিশেষ সময় লাগেনি। মাত্র ৪ মিনিটেই গুরজিন্দর সিংয়ের ক্রস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ড্যানিয়েল সাইরাস। প্রথামর্ধে আরও একটা গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন সাইরাস। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলকিপারের গ্লাভস সে যাত্রায় তাদের বাঁচিয়ে দেয়। ফ্রি-কিক থেকেও বেইতিয়ার শটও রক্ষা করেন মালদ্বীপ দলের গোলরক্ষক। তাঁর শক্ত প্রতিরোধেই এদিন বড় ব্যবধানে জয় অধরা রয়ে গেল গঙ্গাপারের ক্লাবের। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য একটি গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে সালভা চামোরো। ব্রিটোর ক্রস থেকে কোলিনাসের বাড়ানো বল থেকে গোল করতে ভুল করেননি চামোরো।
এদিন জয়ের পাশাপাশি ভিকুনাকে একটি নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে দলের ডিফেন্স লাইন। গোল হজমের পর আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ান প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকাররা। তা সত্ত্বেও সবুজ-মেরুন রক্ষণ চিড়তে পারেননি। তবে শুধু ডিফেন্স নয়, গোলকিপার দেবজিতের কথা উল্লেখ করতেই হবে। যেভাবে খেলার শেষ লগ্নে তিনি নিশ্চিত গোল আটকে দিলেন, তা প্রশংসনীয়। এই ম্যাচে জয়ের ফলে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের শেষ চারে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখলেন বেইতিয়ারা। এবার তাঁদের পাখির চোখ চট্টগ্রাম আবাহনীকে বড় ব্যবধানে হারানো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.