সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভিলেন’ করোনা আগেই সেলিব্রেশনে থাবা বসিয়েছে। আই লিগ ট্রফি ছুঁয়ে দেখতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে রবিবার ভোরে শহর ছাড়ল মোহনবাগানের স্প্যানিশ ব্রিগেড। বিশেষ বাসে কলকাতা থেকে সোজা দিল্লি। তারপর ভোররাতের বিশেষ বিমানে নেদারল্যান্ডস উড়ে যাবেন ভিকুনা-বেইতিয়া-গঞ্জালেজরা।
শুধু তাঁরাই নন, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ ব্রিগেডের মারিও রিভেরা-কোলাডোরা বেইতিয়াদের সঙ্গে শহর ছাড়লেন। রবিবার ভোরে তাঁদের বাসযাত্রার আগে শনিবার নিউটাউনের আবাসনে গিয়ে ভিকুনাদের সঙ্গে দেখা করেন মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস ও অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। তবে মোহনবাগান ও ক্লাবের সমর্থকদের কোনওদিন ভুলবেন না, যাওয়ার আগে জানিয়ে গেলেন বেইতিয়া।
আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও করোনা পরিস্থিতির জন্য ট্রফি নিয়ে সমর্থকদের সঙ্গে সেলিব্রেট করা হয়নি সবুজ-মেরুন শিবিরের ফুটবলারদের। তাই কিছুটা হলেও মন খারাপ ফ্রান গঞ্জালেস-বেইতিয়াদের। রবিবার একেবারে নিঃশব্দে শহর ছাড়লেন আই লিগ জয়ীরা। কিন্তু লকডাউনের মধ্যেও ক্লাবের শীর্ষকর্তা সৃঞ্জয়-দেবাশিসরা যেভাবে তাঁদের আবাসনে এসে সৌজন্য বিনিময় করে গেলেন তাতে যারপরনাই অভিভূত স্প্যানিশ ফুটবলাররা।
তবে এর ঠিক বিপরীত দৃশ্য দেখা গেল ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের ক্ষেত্রে। লাল-হলুদ কর্তাদের কাছে এদিন ব্রাত্যই থেকে গেলেন কোলাডোরা। লকডাউন এর মধ্যেও নতুন মরশুমের জন্য দল গুছিয়ে নিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। মার্কোস-মারিওদের সঙ্গে দেখা করার সৌজন্যটুকু দেখাননি কোয়েস বা ইস্টবেঙ্গল কোনও পক্ষের কোনও শীর্ষকর্তা। স্প্যানিশ ফুটবলাররা শহর ছাড়ার আগে একমাত্র তাঁদের সঙ্গে দেখা করে আসেন টিম ম্যানেজার দেবরাজ চৌধুরি।
এদিন শহর ছাড়ার আগে ভারাক্রান্ত শোনায় বেইতিয়ার গলা। বলেন, ‘মোহনবাগানকে কোনওদিন ভুলব না। কলকাতায় মোহনবাগানে না খেললে, এত মানুষের ভালবাসা পেতাম না।’ পরের মরশুমে কি কিবু ভিকুনার সঙ্গে কেরালা ব্লাস্টার্সের পথে বেইতিয়া? উত্তর হেসে তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, এখনও কোনও ক্লাবে সই করিনি। অনেকের সঙ্গেই কথা হচ্ছে। কিন্তু কোথায় সই করব তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.