Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mohun Bagan

প্রথম ম্যাচেই হোঁচট, ভবানীপুরের কাছে আটকে গেল মোহনবাগান

ভবানীপুরের ফুটবল মন কেড়ে নিল ফুটবলপাগলদের।

Mohun Bagan and Bhawanipore match ends in a draw in CFL
Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:July 2, 2024 5:00 pm
  • Updated:July 2, 2024 5:32 pm

মোহনবাগান-১ ভবানীপুর-১
(শিবাজিৎ) (জিতেন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা লিগে আশা জাগিয়ে শুরু করতে পারল না মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ভবানীপুরের (Bhawanipore) কাছে থেমে গেল সবুজ-মেরুন শিবির। নব্বই মিনিটের শেষে খেলার স্কোরলাইন বলছে মোহনবাগান ১ ভবানীপুর ১। তবে খেলার ফলাফল অন্যরকম হলেও হতেও পারত। ম্যাচে নজর কাড়ল ভবানীপুর। যদিও দিল্লি এখনও ঢের দেরি। কলকাতা লিগে এখনও ঢের ম্যাচ বাকি রয়েছে। সবে প্রথম ম্যাচ খেলল মোহনবাগান। লিগ যত গড়াবে, ততই উজ্জ্বল হবে টাইসন-সুহেলদের খেলা। ভক্ত-সমর্থকদের আশা এমনটাই।
শিবাজিতের ফ্রিকিক থেকে মোহনবাগান এগিয়ে যাওয়ার পরে ভবানীপুরের হয়ে সমতা ফেরান জিতেন মুর্মু। ভাগ্য সহায় থাকলে এদিন জিতেন মুর্মু  একাই হ্যাটট্রিক করতে পারতেন। এতেই পরিষ্কার ম্যাচে ভবানীপুরের কতটা দাপট ছিল। শিশির ঘোষ, মানস ভট্টাচার্যের মতো প্রাক্তন ফুটবলাররা মনে করছেন, প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেল মোহনবাগান। কোনওরকমে এক পয়েন্ট সংগ্রহ করল তারা। শেষ পাঁচ মিনিট ছাড়া মোহনবাগানের আক্রমণে সেই কামড় কোথায়! সুহেল-শিবাজিতরা কেন এত কুঁকড়ে থাকলেন? কেন তাঁদের ফুটবল দৃষ্টিনন্দন হল না? ঘটনা হল, ভবানীপুরের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি মোহনবাগান। একটা সময়ে প্রতিটি বিভাগেই মোহনবাগানের উপরে প্রাধান্য দেখিয়ে গিয়েছে ভবানীপুর। তাদের দলেও রয়েছেন কলকাতা ময়দানের পোড়খাওয়া সব ফুটবলাররা। বর্ষাস্নাত, ভিজে মাঠে কীভাবে খেলতে হয়, তা তাঁদের হাতের তালুর মতো জানা। 

[আরও পড়ুন: ‘ফেভারিট নই’, কোপা যুদ্ধে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে স্বীকার ব্রাজিল কোচের]

সবুজ-মেরুন শিবির প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায়। শিবাজিৎ সিং ফ্রি কিক থেকে এগিয়ে দেন মোহনবাগানকে। গোলটির ক্ষেত্রে ভবানীপুর গোলকিপার শংকর রায়ই দোষী। অতীতে শংকর রায় মোহনবাগানের গোল আগলেছেন। সেই তিনিই পাঁচিল সাজিয়ে নিজে দাঁড়ালেন মাঝমাঝি জায়গায়। শিবাজিতের বাঁক খাওয়ানো ফ্রিকিকের নাগালও পাননি তিনি।  
দিনের শুরু দেখে সবসময়ে বোঝা যায় না গোটা দিনটা কেমন যাবে। এই গোল হজম করার পরই ভবানীপুরের জার্সি আরও উজ্জ্বল দেখাতে শুরু করে। মোহনবাগান রক্ষণের বাঁ দিক ছিল তাদের মিসিং লিঙ্ক। আর ওই প্রান্ত দিয়েই বারংবার আক্রমণ করছিল ভবানীপুর। সইফুল-উমের-জোজো, এই থ্রি মাস্কেটিয়ার্স মিলে মোহনবাগানের রক্ষণে কাঁপুনি ধরাচ্ছিল। ডান দিক থেকেই গড়ানে ক্রস বিপদ ডেকে এনেছিল মোহনবাগানের পেনাল্টি বক্সে। কিন্তু সেই যাত্রায় অভিজ্ঞ জিতেন শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পেরে পড়ে যান। বলের সঙ্গেও সংযোগ ঘটাতে পারেননি। ফলে সমতা ফেরানোর সুযোগ নষ্ট করেন জিতেন। সেই জিতেনই ভবানীপুরের ত্রাতা হয়ে ধরা দেন। যদিও তাঁর গোলটার ক্ষেত্রে সবুজ-মেরুন রক্ষণের রক্তাল্পতাই চোখে পড়ল। ডান দিক থেকে উমেরের বাঁক খাওয়ানো সেন্টার বুঝতেই পারলেন না সবুজ-মেরুনের দুই সেন্টার ব্যাক সৌরভ ও সায়ন। বর্ষাভেজা মাঠে বল পড়লে তা আরও দ্রুতগতিতে ছুটে আসে। মোহনবাগানের দুই ডিফেন্ডার সেটাই উপলব্ধি করতে পারেননি। বল জিতেনের কাছে এলে তিনিও প্রথম টাচে ভালো করে বলটা ট্র্যাপ করতে পারেননি। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জিতেন মোহনবাগানের জালে বল জড়িয়ে দেন। 
মোহনবাগানে নতুন কোচ হয়ে এসেছেন ডেগি কার্ডোজো। তাঁর ছেলেরা কিন্তু মরশুমের শুরুতে নতুনত্ব কিছু দেখাতে পারল না। বরং ভবানীপুর দলকেই অনেক সংঘবদ্ধ দেখাল। নিজেদের মধ্যে একাধিক পাস খেলল। ঝড়ের গতিতে কাউন্টার অ্যাটাক তুলে আনল মোহনবাগানের পেনাল্টি বক্সে। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি। ভেজা মাঠে দুদলের একাধিক ফুটবলার চোটআঘাত পেলেন। ভবানীপুরের সইফুল চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলেন। শেষের দিকে সুহেলও চোট পেলেন।
দ্বিতীয়ার্ধে অন্য এক মোহনবাগানকে দেখা যাবে বলেই ধরে নিয়েছিলেন ভক্তরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ছবিটাও প্রথমার্ধের মতোই। ভবানীপুর একাধিকবার আক্রমণ শানায়। সবুজ-মেরুনের রক্ষণ কেঁপে গেলেও সেই সব আক্রমণ থেকে ভবানীপুর গোল করতে পারেনি। তবে শেষ পাঁচ মিনিট মোহনবাগান মরণকামড় দেয়। ততক্ষণে অবশ্য অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। এই তাগিদটা আরও আগে দেখাতে পারতেন টাইসন-সুহেল-শিবাজিতরা। কলকাতা লিগে শেষের দিকে তেড়েফুঁড়ে খেলে গোল করতে দেখা গিয়েছে অনেক দলকেই। এদিন আরও আগে থেকে জেতার খিদে দেখাতেই পারত মোহনবাগান। শংকরের পরিবর্ত হিসেবে নামা গোলকিপার প্রিয়ন্ত সজাগ থাকায় মোহনবাগান শেষমেশ তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেনি। ওইটুকু সময়তেই মোহনবাগানকে উজ্জ্বল দেখিয়েছে। বাকি সময়টায় ভবানীপুর ভেজা মাঠে ফুল ফুটিয়ে গেল। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিশ্বজয়ের পর কেন পিচের মাটি খেয়ে সেলিব্রেশন? কারণ জানালেন খোদ অধিনায়ক রোহিত]

 

Advertisement

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ