ফাইল ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার: ৫ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলের শেষ স্থানে। প্রথমে মুখোমুখি হতে হয়েছে হারের হাটট্রিকের। এরপর হারতে হয়েছে টানা চারটে ম্যাচে। যার রেশ এখনও চলছে। স্বাভাবিকভাবেই কোচ বদলের দাবি উঠছে মহামেডানের সর্বস্তরে। রবিবার মুম্বই সিটি এফসির কাছে হারের পর কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে সমর্থকদের কাছে ‘গো ব্যাক’-শুনতে হয়েছে মহামেডান কোচ চেরনিশভকে।
আর তারপরেই না চাইলেও কোচের ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দেন মহামেডান কর্তারা। যে ইনভেস্টর কর্তাদের আশীর্বাদে চেরনিশভের কোচের চেয়ার লোহার মতো মজবুত লাগছিল, সমর্থকদের বিক্ষোভ দেখে সেই ইনভেস্টর কর্তারাও পরপর হারে ভাবতে শুরু করেন চেরনিশভের ভবিষ্যৎ নিয়ে। সবচেয়ে বড় সমস্যাটাই আর্থিক। দীর্ঘ চুক্তি থাকার জন্য চেরনিশভকে কোচের চেয়ার থেকে সরানোও যাচ্ছে না। কারণ, চাকরি থেকে বরখাস্ত করলে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর তারজন্যই আপাতত ঠিক হয়েছে, মেহরাজউদ্দিনকে সহকারী কোচ নিয়োগ করে চেরনিশভের উপর চাপ বাড়াবে মহামেডান। এরপর রাশিয়ান কোচ থাকলে থাকবেন। না হলে নিজের থেকে পদত্যাগ করে দেশে ফিরে যাবেন।
যে দলটা নিয়ে বাঙ্কারহিল কর্তাদের ধরে আই লিগে দলকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন চেরনিশভ, সেটা যে আসলে মেহরাজউদ্দিনের গড়া দল, তা সবাই জানত। আর কোনও কারণ ছাড়াই যখন মেহরাজকে সরিয়ে দেওয়া হয়, মেহরাজের মতোই দলের ফুটবলার থেকে সমর্থকরা সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ফলে চেরনিশভ ব্যর্থ হতেই সবাই চাইছেন, ফের মেহরাজউদ্দিনকে ফিরিয়ে আনা হোক কোচের পদে। কিন্তু সমস্যা সেই অর্থ। সরিয়ে দিলে পুরো বেতন দিতে হবে চেরনিশভকে। সেই কারণেই ঠিক হয়েছে, মেহরাজউদ্দিনকে সহকারী কোচ করে চাপ বাড়ানো হবে রাশিয়ান কোচের উপর। সহকারী কোচ হিসেবে দলে ঢুকে শুরুতে চিফ কোচ চেরনিশভের সঙ্গেই কাজ করবেন মেহরাজ। কিন্তু ধীরে ধীরে দলের ক্ষমতার রাশ যে মেহরাজের হাতেই চলে যাবে বলাই বাহুল্য। প্রাক্তন এই জাতীয় ফুটবলারের সঙ্গে শ্রাচি কর্তাদের কথাবার্তা আগেই পাকা হয়ে গিয়েছিল। মুম্বই ম্যাচের পর সেটাই পাকা হয়। কর্তারা তাই সোমবার রাতে সহকারী কোচ হিসেবে মেহরাজের নাম ঘোষণা করে দেন। এরই পাশাপাশি দল গঠনেও কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা হচ্ছে।
এমনিতে ফলাফল যাই হোক, অবনমন নেই আইএসএলে। তাই ৫ পয়েন্টে লিগ শেষ করলেও কিছু বলার থাকবে না। কিন্তু রোজ এভাবে হারতে থাকলে সমর্থকদের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়বে। তাই সমর্থকদের কথা ভেবেই দলে কিছু পরিবর্তন আনার কথা ভাবা হচ্ছে। খুব ইচ্ছে ছিল, ইস্টবেঙ্গলকে বুঝিয়ে ডেভিডকে মহামেডানে নিয়ে আসতে। কিন্তু যে ভাবে লাল-হলুদে চোট আঘাত বেড়ে গিয়েছে, তাতে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো কিছুতেই ছাড়তে রাজি হচ্ছেন না ডেভিডকে। বরং শেষ দুটো ম্যাচে অল্প সময় হলেও মাঠে নামিয়েছেন ডেভিডকে। মহামেডান কর্তারা এখন চেষ্টা করছেন ইস্টবেঙ্গল থেকে জেসিন টিকেকে নিতে। কর্তাদের সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মহামেডান কর্তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না, ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো আদৌ জেসিনকেও ছাড়বেন কিনা। বাধ্য হয়েই এখন আসন্ন ফিফা উইন্ডোতে দু’জন বিদেশি ফুটবলার পরিবর্তন করার কথা ভাবছেন মহামেডান কর্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.