Advertisement
Advertisement
মজিদ বাসকর

মহামেডানে সংবর্ধিত ‘বাদশাহ’, সুব্রতকে দেখে আপ্লুত মজিদ

বহুদিন পর স্মৃতিমেদুর ময়দানের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।

Mohameddan Sporting Club felicitate Majid Biskar on Tuesday
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:August 13, 2019 4:59 pm
  • Updated:August 13, 2019 4:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তখন সংবর্ধনা হয়ে গিয়েছে। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন তিনি। হঠাৎই সামনে এক চেনা মুখ দেখে কয়েক পলের জন্য আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়লেন আশির বাদশাহ মজিদ বাসকর। সেই কবে দেখেছিলেন। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মালি দ্বৈতারী খাটুয়াকে সামনে দেখে যেন মজিদের চোখে সামনে ভেসে উঠল সেই ফেলে আসা দিনগুলি। শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। ভালবাসার আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরলেন তাঁকে। বুঝিয়ে দিলেন কাউকেই তিনি ভোলেননি। এখনও তাঁর স্মৃতির মণিকোঠায় জ্বলজ্বল করে রয়েছে অতীতের প্রতিটি মুহূর্ত।

মঙ্গলবার মহামেডান ক্লাবের পক্ষ থেকে আশির বাদশাহকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল সকাল দশটা নাগাদ। আশির বাদশাহ যখন ক্লাবে প্রবেশ করলেন তখন সাংবাদিককুলের ভিড়। ক্লাবে প্রবেশ করতেই ঝলসে উঠল চিত্রসাংবাদিকদের ক্যামেরা। হালকা সবুজ টি-শার্টে পেটানো চেহারাটা ধীর পদক্ষেপে প্রবেশ করলেন তাঁর পুরনো ক্লাব মহামেডান স্পোর্টিংয়ে। সঙ্গে ক্লাবের শীর্ষকর্তা কামারুদ্দিন।

Advertisement

তারপর এগিয়ে গেলেন সংবর্ধনার জায়গায়। তিনি চেয়ারে বসতেই এগিয়ে এলেন মহামেডান কোচ এবং তাঁর একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী সুব্রত ভট্টচার্য। যাঁকে মজিদ বলেছেন, তাঁর দেখা সেরা ডিফেন্ডার। মজিদকে সামনে দেখে আবেগ বিহ্বল সুব্রত করমর্দন করে জড়িয়ে ধরলেন। এরপর ক্লাবের পক্ষ থেকে মজিদের গলায় পরিয়ে দেওয়া হল উত্তরীয়। তুলে দেওয়া হল স্মারক। একইসঙ্গে দেওয়া হল ১২ নম্বর জার্সি। শিল্পী সলিল বিশ্বাসের আঁকা মজিদের প্রতিকৃতি এবং মা দুর্গার ছবিও স্মারক হিসাবে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হল।

আবেগমথিত কণ্ঠে মজিদ বললেন, “এতদিন পরও আমাকে সবাই মনে রেখেছে, এটা ভেবেই ভাল লাগছে। দারুণ খুশি। কত চেনা মুখ দেখতে পাচ্ছি। আমি খুশি।” এদিন তাঁর দেখা সেরা ডিফেন্ডারকে দেখে আরও আপ্লুত হয়ে পড়েন মজিদ। আপ্লুত সুব্রত ভট্টাচার্যও তাঁর পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, “মজিদ দুর্দান্ত ফুটবলার। গ্রেট ফুটবলার। ওর স্কিল ছিল দুর্দান্ত। আমার মনে পড়ে ওর বিরুদ্ধে খেলা প্রথম ম্যাচের কথা। ও একটা বল পেয়েছিল। বলটা পেয়েই ছোট্ট টাচে আমার মাথার উপর দিয়ে বলটা তুলে দিল। তখনই বুঝতে পারলাম ও কত বড় ফুটবলার। অসাধারণ স্কিল ছিল ওর। পরে বুঝতে পেরেছিলাম ওকে বল রিসিভ করতে দিলেই বিপদ। বল পায়ে থাকলে যেকোনও ফুটবলারকে ড্রিবল করে বেরিয়ে যেতে পারে। ড্রিবলিংয়ের অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল ওর। যেকোনও ফুটবলারকে অনায়াসে অতিক্রম করতে ওর জুড়ি ছিল না। তখন আমরা ঠিক করলাম ওকে বল ধরতে দেওয়া যাবে না। এবং ওকে আটকাতে আমরা রাফ ট্যাকলের পরিকল্পনা করেছিলাম।”

সুব্রত যখন কথাগুলি বলছিলেন, তখন চেয়ারে বসে মুচকি মুচকি হাসছিলেন মজিদ। বললেন, “আমরা যখন খেলতাম, তখন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। এখন আমরা অবসরে। এখন আর সেই দ্বন্দ্ব নেই। দু’জনেই বন্ধু।” আসলে তাঁরও পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল। স্মৃতি তো মধুরও হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement