লিওনেল মেসি। ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৬ বিশ্বকাপে কি আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে লিওনেল মেসিকে? বছর দেড়েক আগে কাতারে বিশ্বজয়ী হওয়ার রাত থেকেই এই প্রশ্নটা উঠছে আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে নিয়ে। শুরুর দিকে তেমন আশাব্যঞ্জক উত্তর পাওয়া যেত না। তবে বর্তমানে পরিবর্তন হয়েছে তাঁর সেই অবস্থানে। পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না মেসি।
এলএম টেন বলছেন, “শারীরিকভাবে কেমন অবস্থায় থাকব, তার উপর পুরোটা নির্ভর করছে। নিজের সঙ্গে তো আর লুকোচুরি করা যায় না। এখনও বছর দু’য়েক বাকি আছে। দেখতে দেখতে সময়টা কেটে যাবে ঠিকই। তবে এখনই বলা সম্ভব না ২ বছর পর আমি কেমন অবস্থায় থাকব। বয়স সংখ্যা মাত্র, তবে তা উপেক্ষাও করা যায় না।” ইউরোপ ছেড়ে এখন এমএলএসে খেলেন মেসি। সেখানে যে চ্যালেঞ্জ অনেক কম, তা মেনে নিয়েছেন মেসি নিজেই। “আমি এখন যেসব ম্যাচ খেলি, সেগুলি অতীতে আমি যেসব ম্যাচ খেলেছি তাদের মতো নয়। ইউরোপে প্রতি তিনদিনে একটা ম্যাচ খেলতে হত। হয় ঘরোয়া লিগে, নয়তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। স্পেন হোক বা ফ্রান্স, সব দেশে ছবিটা একই।” বলছেন মেসি। বার্সেলোনা থাকার সময় তাঁকে একবার মনোবিদের কাছেও যেতে হয়।
ইউরোপ ছাড়ার পর ইউরোপিয়ান ফুটবল নিয়ে অবস্থানও অনেকটা বদলেছে মেসির। নয়তো কেনই বা সেরা ক্লাব হিসাবে তিনি বেছে নেবেন রিয়াল মাদ্রিদকে? বার্সেলোনার ঘরের ছেলে হিসাবে যে ক্লাব তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী! আর্জেন্টাইন মহাতারকা সরাসরিই বলছেন, “এটা মানতেই হবে যে সাম্প্রতিক সময়ে সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ওরাই শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে। শেষবার ম্যাঞ্চেস্টার সিটি জিতলেও তার আগের সংস্করণে মাদ্রিদই জিতছে। ফলে ফলাফলের বিচারে মাদ্রিদকে সেরা হিসাবে বেছে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।” তবে সুন্দর ফুটবলের বিচারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নয়, মেসির পছন্দ প্রাক্তন কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার সিটি। “ব্যক্তিগতভাবে আমি গুয়ার্দিওলার সিটির খেলা দেখতে পছন্দ করি। আসলে গুয়ার্দিওলা যে দলেই থাকুন না কেন, সেই দল সুন্দর ফুটবল খেলবে। সেটা ওঁর কৌশল, ওঁর অনুশীলনের রীতি, ওঁর কাজের জন্য সম্ভব হয়। তাই খেলার মানের বিচারে সিটিই সেরা আমার কাছে, ফলাফলের বিচারে মাদ্রিদ,” বলে দিয়েছেন মেসি।
দিন পনেরো পরই শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা। এবার লড়াই হবে মার্কিন মুলুকে, ক্লাব ফুটবলের সূত্রে যা এখন মেসির পাড়া। আর নিজের পাড়ায় ফের কোপা জয়ের বিষয়ে আশাবাদী তিনি নিজেও। তাঁর কথায়, “কোপায় আর্জেন্টিনা অবশ্যই ফেভারিট। আমরা গত কয়েক বছরে সব ট্রফিই জিতেছি। আর তার আগে যখন কিছু জিততে পারতাম না, তখনও আমাদের ফেভারিট হিসাবে গণ্য করা হত। কোপা হোক বা অন্য প্রতিযোগিতা, খেলা শুরুর পর ব্রাজিল বা অন্য দলের মতো আর্জেন্টিনাও ফেভারিট হিসাবেই মাঠে নামে। তবে এটাও ঠিক যে লাতিন দলগুলির শক্তি অনেকটা বেড়েছে। উরুগুয়ে ভালো দল। কলম্বিয়া, ইকুয়েডরও আছে। সবটাই মাঠে বোঝা যাবে। তবে আমি মনে করি, আমরা কোপা জয়ের খুব কাছে আছি।” এখন শুধু প্রতিযোগিতা শুরুর অপেক্ষা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.