সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি সুপারস্টার। উঠতি ফুটবলারদের অনুপ্রেরণা। তাঁর পায়ের জাদু হাসি ফোটায় বিশ্ববাসীর মুখে। স্বপ্নের নায়ককে একবার চাক্ষুস করতে উদগ্রীব ভক্তকূল। কিন্তু নিরাপত্তার বেড়া টপকে তাঁর কাছে পৌঁছে যাওয়া তো সহজ নয়। তবে তাঁর প্রতি ভক্তদের পাগলামি, ভালবাসা, শ্রদ্ধার কথা বোঝেন সুপারস্টার। আর তাই কোনওভাবেই সেই ভালবাসাকে দূরে সরিয়ে রাখতে পছন্দ করেন না তিনি। আকাশচুম্বি সাফল্যের পরও তাঁর পা যে মাটিতেই, সে প্রমাণই ফের দিলেন লিওনেল মেসি।
মাঠে বিপক্ষের কাছে ঠিক যতটা ত্রাস, মাঠের বাইরে ততটাই নরম মনের মানুষ মেসি। বুধবার ফের মেসির নায়কসুলভ সেই চেহারাই দেখল বিশ্ব। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন ম্যাচে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে নামার আগে প্র্যাকটিসে যাচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। টিম বাস থেকে নামার মুখে ছিল কড়া নিরাপত্তা। আর সেই নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে থেকেই উঁকি মারছিল তাঁর এক খুদে সমর্থক। কিন্তু মেসির কাছে পৌঁছানোর আপ্রাণ চেষ্টা রুখে দিচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বিষয়টা চোখ এড়ায়নি ব্যস্ত মেসির। সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়েন। খুদে ভক্তকে ফিরিয়ে আনতে বলেন। মেসির কথা মতো নিরাপত্তারক্ষীরাই ফিরিয়ে আনে তাকে। মাঠের দাপুটে ফুটবল তারকা এক মূহূর্তে হয়ে ওঠেন কাছের মানুষ। ভক্তকে কাছে টেনে নিয়ে অটোগ্রাফও দিলেন। মেসি জানেন, এই ক্ষুদ্র সাক্ষাৎই ওই ভক্তকে অনেকখানি অনুপ্রেরণা দেবে। তাই ফুটবলের প্রতি তার ভালবাসাকে কোনওভাবেই ক্ষুণ্ন হতে দিতে চাননি তিনি। আর এভাবে মাঠের বাইরেও তিনি হয়ে ওঠেন নায়ক।
Brilliant. Sheep & a Lion. None of them gave a flying fuck for the kid. #Messi notices, cares & suddenly it’s vital pic.twitter.com/lNvpD36tR2
— Graham Hunter (@BumperGraham) August 30, 2017
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও আফগানি খুদে ভক্তের সঙ্গে ভাইরাল হয়েছিল মেসির ছবি। স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল অভাবের সংসারে ছ’বছেরর মুরতাজা। মেসির প্রতি মুরতাজা আহমদির ভালবাসা দেখে ভাইকে প্লাস্টিক দিয়ে ১০ নম্বর লেখা একটি আর্জেন্টিনার জার্সি বানিয়ে দিয়েছিলেন দাদা৷ সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল৷ সে খবর যায় বার্সা তারকার কাছেও। আর তারপরই খুদে ভক্তের ইচ্ছেপূরণ করেন। কোলে তুলে নিয়ে ছবিও তোলেন তার সঙ্গে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.