দীপক পাত্র: ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ফুটবল দল গড়তে একবার এগিয়ে এসেছিলেন স্বয়ং লতা মঙ্গেশকর (East Bengal)। সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে আজ স্মৃতিচারণায় ময়দানের ক্লাব।
সালটা ১৯৮৮। সেবার আর্থিক দৈন্যতা ক্লাবে প্রকট। ফুটবল দল গড়া হবে কীভাবে কেউ জানে না। তখন তো স্পনসরের যুগ ময়দানে আসেনি। কর্তারা দিশেহারা। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তখন ক্লাবের ফুটবল সচিব ছিলেন সুপ্রকাশ গড়গড়ি। সকলে জানেন, ময়দানি মানুষদের মধ্যে বাংলায় একমাত্র সুপ্রকাশ গড়গড়ির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল সুরসম্রাজ্ঞীর। তাই ক্লাবের কাছে সুপ্রকাশ প্রস্তাব দিলেন, যদি লতাকে দিয়ে বিচিত্রানুষ্ঠান করা যায় তাহলে কেমন হয়?
সকলে এককথায় রাজি হয়ে গেলেন। দলকে নিয়ে মুম্বইতে গেলেন রোভার্স কাপ খেলতে। সেবার গিয়ে সরাসরি লতার (Lata Mangeshkar) কাছে সুপ্রকাশ বললেন, “আমার জন্য একটা অনুষ্ঠান করে দিতে হবে।” সেই প্রস্তাবে লতা এককথায় সম্মতি জানিয়ে দিলেন। সুপ্রকাশ গড়গড়ি বলছিলেন, “১৯৮৮ সাল। ইস্টবেঙ্গল দল নিয়ে মুম্বই গেলাম। রোভার্সে খেলা। বললাম দিদি, আপনাকে আমার জন্য একটা অনুষ্ঠান করে দিতে হবে। এই অনুষ্ঠান হবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। আর্থিক সংকট চলছে। দিদি আমার প্রস্তাব কখনও ফেলতে পারেননি। তাই বলেই দিলেন, ঠিক আছে করব। দিদিকে নিয়ে এসে আমরা সেবার তুলেছিলাম প্রায় কুড়ি লাখ টাকা।”
দলগঠনের জন্য লতাকে নিয়ে আসা হয়েছিল তা কিন্তু ক্লাব বলেনি। চাউর করা হয়েছিল ক্লাবের প্রি-প্লাটিনাম জুবিলি উৎসবের অঙ্গ হিসেবে। সেই অনুষ্ঠান হয়েছিল ক্লাবের নিজস্ব মাঠেই। তার ঠিক তিনদিন পরে করা হয় জ্যোতিষ গুহ ফুটবল টুর্নামেন্ট। অনুষ্ঠানের শুরুতে লতা মঙ্গেশকরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল আজীবন সদস্যপদ। সুপ্রকাশ বলছিলেন, “কলকাতা ময়দানে একবার মাত্র এসেছিলেন লতা। তারপর কিন্তু কোনওদিন কোন ক্লাব আনতে পারেনি।” লতাকে অবশ্য শ্রদ্ধা জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। রবিবার তাঁর ছবিতে মাল্যদান করা হয়। ক্লাবের পতাকা অর্ধনমিত ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.