শেষ মুহূর্তে জয় পেল মোহনবাগান।
মোহনবাগান: ২ (‘৮৭ আত্মঘাতী গোল, ‘৯০ পেত্রাতোস)
হায়দরাবাদ: ১ (‘৭ লালচুংনুংটা ছাংতে)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেবারে শেষ মুহূর্তে জোড়া গোলে হায়দরবাদকে হারিয়ে দিল মোহনবাগান। সুপার কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীনিধি ডেকানের বিরুদ্ধে জিতেছিল মোহনবাগান। ১ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত সবুজ-মেরুন জিতেছিল ২-১ গোলে। জেসন কামিন্স ও আর্মান্দো সাদিকুর গোলে এসেছিল স্বস্তি। এবারও শেষ মুহূর্তে খেলা ঘুরে গেল। এবারও মোহনবাগান সেই ২-১ ব্যবধানেই জয়ের মুখ দেখল।
১৯ জানুয়ারি মেগা ডার্বি। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মর্যাদার ম্যাচে নামার আগে মোহনবাগানের রক্ষণের পরীক্ষা নিলেও শেষ পর্যন্ত হারল নিজামের শহরের দল। আর তাই ডার্বির আগে তিন পয়েন্ট নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে মাঠ ছাড়ল গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দল। লালচুংনুংটা ছাংতে আত্মঘাতী গোল করার পর, পেনাল্টি থেকে গোল করে বিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।
এদিন শুরুতেই গোল হজম করে মোহনবাগান। ৭ মিনিটের মাথায় ডিফেন্ডার ব্র্যান্ডল হ্যামিল ও গোলকিপার আর্শ শেখের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে হেলায় গোল করেন লালচুংনুংটা ছাংতে। অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের ব্যাকপাস থেকে বল ধরতে পারেননি আর্শ। বল পেয়ে যান লালচুংনুংটা ছাংতে। তিনি ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি। দুজনের ভুল বোঝাবুঝির জন্য দল ব্যাকফুটে চলে যায়।
এর পর সমতা ফেরানোর তাগিদে লাগাতার আক্রমণ করতে থাকে সবুজ-মেরুন। ২১ মিনিটে গোল করার সুযোগও পেয়ে গিয়েছিলেন কিয়ান নাসিরি। জেসন কামিন্সের ক্রস চলে যায় নাসিরির পায়ে। তবে লাইন্সম্যান পতাকা তুলে অফ সাইডের নির্দেশ দেন। যদিও টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় যে, কিয়ান শট নেওয়ার সময়ে বল পুরোপুরি মাঠের বাইরে যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই লাইন্সম্যানের সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি ক্লিফোর্ড মিরান্ডার ছেলেরা।
একদিকে গোল অধরা। অন্যদিকে দুর্বল রক্ষণ। সেই সুযোগে আরও একটি গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন লালচুংনুংটা ছাংতে। ৩৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে গোল করার চেষ্টা করেন লালচুংনুংটা ছাংতে। তবে তাঁর শট পোস্টের অনেক উপর দিয়ে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেও সবুজ-মেরুনের ডিফেন্সকে ফের একবার সেই লালচুংনুংটা ছাংতেই কাঁপিয়ে দেন। যদিও সেবার অনেক বেশি সতর্ক ছিলেন আর্শ শেখ। শরীর বাঁদিকে ভাসিয়ে দলকে পতন থেকে বাঁচিয়ে দেন সবুজ-মেরুনের গোলকিপার।
শুরুতে গোল হজম করলেও ফের সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল। কিন্তু এবারও ব্যর্থ সবুজ-মেরুন। ৫০ মিনিটের মাথায় কামিন্সের ক্রসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন সুহেল। পোস্টের ঠিক সামনে সুহেল বলে পা ছোঁয়ালেই গোল পেয়ে যেত মোহনবাগান। কিন্তু গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয়। তবুও গোলের খোঁজে বারবার বিপক্ষের বক্সে হানা দিচ্ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস ও জেসন কামিন্স। এবং শেষ দিকে জোড়া গোলে খেলা ঘুরিয়ে দিল সবুজ-মেরুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.