স্টাফ রিপোর্টার: জবি জাস্টিনকে ইস্টবেঙ্গলেই খেলতে হবে। হাতের লেখা বিশারদের কাছ থেকে আসা তথ্য অনুযায়ী, ইস্টবেঙ্গল চুক্তিপত্রে সইটি করেছিলেন স্বয়ং জবি জাস্টিন। ফলে এটিকের পর ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্রে সই করায় কেরলের ফরোয়ার্ডকে লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। এমনই জানিয়ে দিল আইএফএ। এমন সিদ্ধান্তের কথা ফেডারেশনকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়।
গত মরশুমে ঘরোয়া ফুটবলে সাড়া জাগানো ফুটবলার জবিকে নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত ঘটে এবছর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি। প্রথমে এটিকে-তে খেলবেন বলে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন। পরে আবার ইস্টবেঙ্গলে এসে টোকেন তুলে দেন তিনি। পরে এটিকে দাবি করে, জবির সঙ্গে তাঁদের চুক্তি হয়ে গিয়েছে। সুতরাং আগামী মরশুমে অন্য কোনও দলে খেলতে পারবেন না। কিন্তু আইএফএ তখন জানিয়ে দেয়, যারা টোকেন ও চুক্তিপত্র দেখাতে পারবে তাদের হয়ে খেলতে বাধ্য হবেন জবি। এমন টানাপোড়েনের মাঝে ফেডারেশন ঘোষণা করে, পুরো বিষয়টা তদন্ত করে দেখবে আইএফএ। তাদের সিদ্ধান্তকে মেনে নেবে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা।
তারপরই আইএফএ নেমে পড়ে তদন্তে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব, জবি জাস্টিন এমনকী কোয়েস কর্তা সঞ্জিত সেনকে ডেকে পাঠানো হয়। সকলের বক্তব্য শোনার পর বিষয়টা ঠেলে দেওয়া হয়েছিল প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে। সেই কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় হাতের লেখা বিশারদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, সত্যি ইস্টবেঙ্গলের কাছে থাকা চুক্তিপত্রে জবি সই করেছেন কিনা। আইএফএ-র কাছে এসে জবি জানিয়ে যান, এমন চুক্তিপত্রে তিনি সই করেননি। এটিকেও বারবার বলে এসেছে, টোকেনের কোনও গুরুত্ব নেই। চুক্তিপত্র তাদের কাছে রয়েছে। সুতরাং কেরল স্ট্রাইকারকে তাদের দলেই খেলতে হবে। এদিন সেই হস্তলেখা বিশারদ জানিয়ে দিলেন, ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্রে জবিই সই করেছেন।
এই তথ্য তুলে ধরে উৎপলবাবু বলছিলেন, “আমাদের কাছে হস্তলেখা বিশারদ জানিয়ে দিয়েছেন, আগে এটিকের চুক্তিপত্র সই করলেও পরে ইস্টবেঙ্গলে গিয়ে তিনি সই করে এসেছেন। ফলে পরের সইকে গুরুত্ব না দিয়ে উপায় নেই। এখন জবিকে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে হবে। যাই হোক পুরো বিষয়টা পাঠিয়ে দিচ্ছি ফেডারেশনে। ওরাই এবার জবির ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।” শনিবার ছিল লিগ সাব-কমিটির সভা। সেখানে ঠিক হয়েছে, আসন্ন প্রিমিয়ার ডিভিসনের এ গ্রুপ থেকে দু’টো দল নামবে। প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে তুলে আনা হবে চারটে দলকে। অর্থাৎ এবার বারোটা দলকে নিয়ে লিগ হলেও পরের মরশুমে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে ১৪-তে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.