দুলাল দে: ক্রিকেটের স্কোরবোর্ডকে না হয় নেভিল কার্ডাস গাধা বলেছিলেন। কিন্তু ফুটবলের স্কোরবোর্ডকে কী বলবেন? যদি স্কোরবোর্ডকেই ‘বাইবেল’ ধরে এগোতে হয়, তাহলে আইএসএলে (ISL) দু’বার চ্যাম্পিয়ন, তিনবার ফাইনাল, একবার সেমিফইনালে ওঠা অ্যান্তোনিও হাবাসকে শনিবারের ফাইনালের আগে কোন চেয়ারে বসানো উচিত? চ্যাম্পিয়নের না রানার্সের?
উলটোদিকে মুম্বই সিটি এফসি কোচ সের্জিও লোবেরাকে যদি দেখি, এফসি গোয়ার (FC Goa) কোচ হিসেবে এর আগে ২০১৮-১৯ এ একবার ফাইনাল খেলেছিলেন। কিন্তু বেঙ্গালুরু এফসির কাছে হেরে সেই রানার্সের তকমা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। কিন্তু এসবই তো স্কোরবোর্ডের কথা। আর এই স্কোরবোর্ড ধরলে, এটাও তা মাথায় রাখতে হবে যে, এই মরশুমে গ্রুপ লিগের খেলায় দু’দুবার হাবাসের এটিকে মোহনবাগানকে (ATK Mohun Bagan) হারিয়ে দিয়েছে লোবেরার মু্ম্বই সিটি এফসি। স্কোরবোর্ডের এই তথ্যর উপর ভিত্তি করেও তো একদিন আগেও কোনও ফুটবল বিশেষজ্ঞ বুক চাপড়ে বলতে পারছেন না, শনিবার হাবাসের এটিকে মোহনবাগান নয়, এগিয়ে রয়েছে লোবেরার মুম্বই সিটি এফসি (Mumbai City FC)। বরং এদিন ফুটবল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথাবার্তার পর যে নির্যাস উঠে আসছে, তাতে দু’বার হয়তো হার মেনে নিতে হয়েছে। তৃতীয় তথা ফাইনাল স্টেজে গিয়ে এই মরশুমের আগের যাবতীয় হিসেব নিকেশ উলটে দিতেই পারেন হাবাস। আর যে সম্ভাবনাই বেশি দেখতে পাচ্ছেন সবাই।
সবাই বলেন, হাবাস (Antonio López Habas ) হচ্ছেন ডিফেন্সিভ কোচ। অর্থাৎ, আগে ‘এক’ পয়েন্ট নিশ্চিত করো। তারপর ‘তিন’ পয়েন্ট পেলে ঠিক আছে। কিন্তু হাবাস নিজেকে বলেন, ব্যালান্সড কোচ। অর্থাৎ, পরিস্থিতি আর হাতের অস্ত্র অনুযায়ী যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ। হাতে যেই মার্সেলিনহো আর লেনি রডরিগসের মতো দু’জন বল প্লেয়ার চলে এসেছেন, সঙ্গে সঙ্গে হাবাসের খেলার স্টাইল দেখুন। অ্যাটকিং থার্ডে হামেশাই তিন চারটে পাস খেলছেন। ১৪ গোল করে গোল্ডেন বুটের দাবিদার রয় কৃষ্ণর (Roy Krishna) দিকেই স্বাভাবিকভাবে তাকিয়ে রয়েছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। দলের মূল স্তম্ভ কিন্তু কার্ল ম্যাক হিউঘ। মারাত্মক এনডিওরেন্স ক্ষমতায় মাঠের যে কোনও জোনে প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের থেকে নিজেদের ফুটবলারদের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারেন তিনি। ফলে হাবাস যে ব্যালান্স ফুটবলটা খেলতে চান, মিডল থার্ডের সঙ্গে অ্যাটকিং থার্ড আর ডিফেন্সিভ থার্ডের পুরো ব্যালান্সটা করেন কার্ল ম্যাক হিউঘ (Carl McHugh)। মুম্বই সিটি এফসিতে যে কাজটা করেন বুমোস। হয়তো এবারের আইএসএলের সেরা মিডফিল্ডারও। গত মরশুমে এফসি গোয়ার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বুমোস, ফল, জাহু, মন্দারদের নিয়েই লোবেরা চলে এসেছেন মুম্বইতে। ফলে বুমোসরা যেমন জানেন, লোবেরার কোচিং স্টাইল। সেরকম বুমোসদের দিয়ে কী করানো যেতে পারে, তা হাতের তালুর মতো পরিষ্কার সের্জিও লোবেরার কাছে।
শেষ পর্বে এসে হাবাসের দলের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হল, ডেভিড উইলিয়ামসের ফর্মে ফিরে আসা। গত মরশুমে উইলিয়ামস আর রয় কৃষ্ণ জুটির ২২ গোলের উপর ভর করেই চ্যাম্পিয়নের তকমা পান হাবাস। কিন্তু এবার শুরু থেকেই উইলিয়ামসের চোট। ফলে স্ট্র্যাটেজিটা হয়ে উঠল, যেভাবেই হোক অ্যাটাকিং থার্ড পর্যন্ত বল তুলে নিয়ে আসা হবে। তারপর রয কৃষ্ণ তা গোলে পর্যবসিত করবেন। এর পাশেই উঠে এলেন মনবীর। সঙ্গে চোট কাটিয়ে ডেভিড উইলিয়ামস। স্লগ-ওভারে এসে নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের দুটো লেগেই গোল করে উইলিয়ামসও এখন কৃষ্ণ আর মনবীরের পাশে ট্রফি জেতার জন্য সমান ভরসার জায়গা।
রয় কৃষ্ণর ১৪ হলে মুম্বইয়ের লে ফন্দ্রের পাশেও কিন্তু ১১টি গোল। সঙ্গে ফরোয়ার্ডে ওগবেচে রয়েছেন। ফলে টিম লিস্টে শক্তির জায়গা বিচার করতে বসলে, কাউকেই এগিয়ে পিছিয়ে রাখতে পারবেন না। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে, আরও একটি তথ্য। যা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা হচ্ছে হাবাসের টিম হোটেলেও। এই মরশুমে মুম্বইয়ের মোট গোলের ষাট শতাংশ এসেছে সেটপিস থেকে। ভরসার জায়গা একটিই। এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য কিন্তু গোল্ডেন গ্লাভসের দাবিদার।
আবার মুম্বই সিটি এফসির অ্যাডভান্টেজ হল, সুদূর ইংল্যান্ড থেকে আসা একটা শুভেচ্ছা বার্তা। যেটি পাঠিয়েছেন খোদ ম্যাঞ্চেস্টার সিটি এফসির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। তিনি বলছেন, ফাইনাল জিততে নিজেদের সবটা দিক মুম্বই। যা তাতাচ্ছে লোবেরার ফুটবলারদের।
একসময়ে বিজেপির দাপুটে নেতা ছিলেন যশবন্ত সিনহা৷ মন্ত্রিসভাতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি সামলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রকও। বর্তমানে যদিও আর গেরুয়া শিবিরে নেই তিনি৷ ২০১৯ লোকসভার আগে থেকেই মোদি-শাহ জুটিকে হারাতে রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমেছেন তিনি। উনিশের আগে মমতার হয়ে রাজ্যে ভোটপ্রচার করেছিলেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, “২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই৷’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.