Advertisement
Advertisement
East Bengal

ফিরছে সুদিন! অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে জয়ের খরা কাটাল ইস্টবেঙ্গল

মরশুমের দ্বিতীয় জয় লাল-হলুদের।

ISL 9: East Bengal beats Bengaluru FC by 1-0 | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 11, 2022 9:30 pm
  • Updated:November 11, 2022 9:41 pm  

ইস্টবেঙ্গল: ১ (ক্লেইটন)
বেঙ্গালুরু: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru FC) লাল-হলুদের দাদাগিরি। সুনীল ছেত্রী, রয় কৃষ্ণ, সন্দেশ জিংঘানদের ঘরের মাঠে গিয়ে জয় ছিনিয়ে আনল ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করলেন এদিনের অধিনায়ক ক্লেইটন (Cleiton Silva)। পরপর হারে কার্যত বিধ্বস্ত লাল-হলুদ শিবিরের জন্য এই জয় রীতিমতো অক্সিজেনের মতো কাজ করবে। এটিই লাল-হলুদের জন্য মরশুমের দ্বিতীয় জয়। জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে আট নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল।

আইএসএলে (ISL) পাঁচ ম্যাচে চার হারের জেরে বেশ চাপে ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। কখনও ডিফেন্স, আবার কখনও আক্রমণের ছোট ছোট ভুলে পয়েন্ট হাতছাড়া হওয়ায় ভুগেছে ইস্টবেঙ্গল। কোনওভাবেই গোটা একটা ম্যাচ দল হিসাবে পারফেক্ট খেলাটা উপহার দিতে পারছিলেন না লাল-হলুদ ফুটবলাররা। শুক্রবারও হয়তো পারফেক্ট ফুটবল খেলেনি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কার্যকরী ফুটবল খেলে কাঙ্ক্ষিত জয় সমর্থকদের উপহার দিয়ে গেলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুখবর! ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের ৩৯২৯ শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ হাই কোর্টের]

বিপক্ষ দলের দুই ফরওয়ার্ডের নাম ছিল রয় কৃষ্ণ এবং সুনীল ছেত্রী। স্বাভাবিকভাবেই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে গোল না খাওয়াটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ইস্টবেঙ্গলের জন্য। লাল-হলুদ কোচ কনস্ট্যানটাইন একপ্রকার পারফেক্ট কৌশলে সুনীল এবং কৃষ্ণ দু’জনকেই আটকে রাখেন। সুনীল মাঝেমাঝে উইং থেকে ক্রস করার চেষ্টা করলেও রয় কৃষ্ণা কার্যত নড়তেই পারেননি। যার ফলে ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক কমলজিতের উপর চাপই তৈরি হয়নি। উলটে প্রতি আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল শুরু থেকেই একের পর এক সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল। তবে প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি।

[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে শহিদ তর্পণ মঞ্চে আগুন: ‘৩ দিনের মধ্যে দোষীরা গ্রেপ্তার না হলে অনশন’, হুঁশিয়ারি কুণালের]

দ্বিতীয়ার্ধেও খেলার গতি একইরকম ছিল। বেঙ্গালুরুর বিখ্যাত আক্রমণভাগ দ্বিতীয়ার্ধেও সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। উলটে বেশি ঝকঝকে মনে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলকেই। ম্যাচের বয়স তখন ৬৯ মিনিট। মহেশ সিংয়ের অনবদ্য একটি রান এবং ক্লেইটন সিলভার অনবদ্য ফিনিশ লাল-হলুদকে এগিয়ে দেয়। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভায় উপস্থিত লাল-হলুদ সমর্থকরা তখন আনন্দে আত্মহারা। সেই গোলের পর বেঙ্গালুরু অবশ্য শেষদিকে পালটা আঘাত হানার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু অন্য দিনের মতো কোনও ভুল এদিন আর লাল-হলুদ ফুটবলাররা করেননি। ম্যাচের শেষদিকে আর কোনও গোল হজম করতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement