স্টাফ রিপোর্টার : নতুন কোচ অস্কার ব্রুজো শহরে এসেছেন তিন দিন হল। এরই মধ্যে শনিবার ভোর রাতে শহরে পা দিয়েই তাঁকে ডার্বির বেঞ্চে বসতে হয়েছিল। ডার্বি হারের পর দু’দিন হয়ে গিয়েছে। এই দু’দিনের মধ্যেই ক্লেটন সিলভাদের তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন চোয়াল শক্ত করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত লাল-হলুদের এই স্প্যানিশ কোচ। হাতে সময় একেবারেই নেই। এমন পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার অ্যাওয়ে ম্যাচে মুখোমুখি হতে হচ্ছে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে। এই ম্যাচকে কার্যত ফাইনাল হিসাবে দেখছেন অস্কার। এদিন অনুশীলন শুরুর আগে ফুটবলারদের সঙ্গে প্রায় আধঘন্টা বৈঠক করেন অস্কার।
সামনে ওড়িশা। যারা এই মুহূর্তে লিগ টেবিলের দশম স্থানে রয়েছে। ইস্টবেঙ্গল(East Bengal) যেখানে এক পয়েন্টও সংগ্রহ করতে পারেনি সেখানে, সার্জিও লোবেরার ছেলেরা চার ম্যাচে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছেন। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচটা ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ। লাল-হলুদের চেয়ারে তিন দিন হয়তো বসেছেন। কিন্তু তার আগে থেকেই ওড়িশা সম্পর্কে যথেষ্টই ধারণা রয়েছে অস্কারের। গতবার বসুন্ধরার কোচ থাকাকালীন ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে হয়েছিল। তাই সার্জিও লোবেরোর ছেলেদের খেলার স্টাইল সম্পর্কে ধারণা রয়েছে ইস্টবেঙ্গল কোচের। ওড়িশা উড়ে যাওয়ার আগে তিনি বলছিলেন, “গত বছর ওদের বিরুদ্ধে খেলার সুবাদে ওড়িশার শক্তি আর দুর্বলতা সম্পর্কে কিছুটা ওয়ারিবহাল। গতবারের হোমওয়ার্কের পাশাপাশি এবারও ওদের নিয়ে হোমওয়ার্ক করেছি। যথেষ্ট শক্তিশালী দল, উইং দিয়ে আক্রমণে উঠে আসে। আমরা আগের মানসিকতা বদলে লড়াইয়ের মানসিকতায় ফিরতে চাই। এতদিন জয় আসেনি। এবার হয়ত জয়ের খেলা খেলতে পারব।”
গত কয়েকটি ম্যাচে উইং দিয়েই প্রতিপক্ষ চিড় ধরিয়েছে লাল-হলুদ রক্ষণকে। সেই কথা মাথায় রেখেই ওড়িশার বিরুদ্ধে আনোয়ারদের খেলাতে চান অস্কার। আরও বলছিলেন, “আগের ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষ উইং দিয়ে আক্রমণ করে রক্ষণকে সমস্যায় ফেলেছে। এবার আর সেই ভুল করা যাবে না। এবার আমাদের সফল হতেই হবে। জয় ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ ফুটবলারদের সামনে খোলা নেই।” এদিন অনুশীলনে একবারই তাল কাটল যখন ডেভিড লালহানসাঙ্গাকে সল ক্রেসপো কড়া ট্যাকল করলেন। ডেভিড উঠে গিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখান। পরে অবশ্য দুই ফুটবলার মিটমাট করে নেন বিষয়টি।
দু’দিন অনুশীলন দেখার পর ইস্টবেঙ্গল কোচ আরও বলছেন, “গত দু’দিন অনুশীলন যথেষ্ট ভালো হয়েছে। ফুটবলাররা আশা করি বুঝতে পেরেছে আমি কী চাইছি ওদের থেকে। তবে এই প্রক্রিয়াটা সফল হতে কিছুটা সময় লাগবে। যদিও আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। দ্রুত জয়ের রাস্তায় ফিরতে গেলে ও সেরা ছয়ে থেকে লিগ শেষ করতে হলে আমাদের পরপর জয় তুলে আনতে হবে।” টানা হারের ফলে ফুটবলাররা যে মানসিকভাবে বেশ পিছিয়ে রয়েছে, তা অস্বীকার করছেন না ব্রুজো। এদিনও বলে গেলেন খুব দ্রুত ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের মানসিক সমস্যা দূর করতে হবে। দলের ফিটনেস নিয়েও চিন্তিত লাল-হলুদ কোচ। এদিন অনুশীলনে আসেননি নওরাম মহেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.