মাদিহ তালাল। ছবি: ইস্টবেঙ্গল সোশাল মিডিয়া।
স্টাফ রিপোর্টার : মাদিহ তালালের চোটের পরিস্থিতি এখন ঠিক কীরকম? বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না ইস্টবেঙ্গলের কেউই। তবে শোনা যাচ্ছে, বেশ ভালোই চোট লেগেছে তাঁর। এমআরআই-এর প্রাথমিক রিপোর্টে এসিএলে গ্রেড ৩ টিয়ারের আশঙ্কাই রয়েছে বলে খবর। যদি সেই আশঙ্কা সত্যি হয়, তবে চলতি মরশুমে মরোক্কান মিডফিল্ডারের মাঠে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ এ ধরনের চোট সারিয়ে পুরোপুরি ফিট হতে সাধারণত দশ মাসেরও বেশি সময় লেগে যায়। যা অতীতে দেখা গিয়েছে জনি কাউকো বা জর্ডন এলসের ক্ষেত্রে। তালালের চোট তেমনই বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ লাল-হলুদ কর্তারা।
তবে শুধু তালালই নন, তাঁর প্রাক্তন ক্লাব পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে নামার আগে আরও চোট সমস্যা রয়েছে লাল-হলুদ শিবিরে। বৃহস্পতিবার ওড়িশা এফসি ম্যাচ খেলে একদিন ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছিলেন কোচ অস্কার ব্রুজো। শনিবার অনুশীলনে মূল দলের ফুটবলাররা শুধু ফিজিক্যাল ট্রেনিং করলেন। বাকিরা নিজেদের মধ্যে পাস খেলার ট্রেনিং করার পর তাঁদের দু’দলে ভাগ করে ম্যাচ প্র্যাকটিস করালেন কোচ অস্কার। তবে এই পুরো পর্বেই অনুপস্থিত ছিলেন দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস এবং হেক্টর ইউস্তে। প্রথমজন শেষ ম্যাচে খেলেননি। দ্বিতীয়জন স্কোয়াডে থাকলেও মাঠে নামেননি। দু’জনেই এদিন অনুশীলনে এলেও শুরুতে আধঘণ্টার টিম মিটিংয়ের পর যুবভারতী ছেড়ে চলে যান। তালালের মতোই চোট পাওয়া আরেক মিডফিল্ডার সল ক্রেসপোও এদিন মাঠে আসেননি।
এই অবস্থায় পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে দল সাজানো নিয়ে মাথাব্যথা বাড়ছে কোচ অস্কারের। কারণ এই ম্যাচে তালাল-ক্রেসপো যে খেলবেন না, তা স্পষ্ট। জিকসন সিংও নেই কার্ড সমস্যায়। ফলে পাঞ্জাব ম্যাচে সৌভিক চক্রবর্তী ছাড়া ভরসাযোগ্য হোল্ডিং মিডিও নেই অস্কারের হাতে। কারণ রিজার্ভ দলের তন্ময় দাসকে আইএসএলে নথিভুক্ত করানো হলেও তিনি চোটের জন্য বাইরে। এই অবস্থায় আনোয়ার আলিকে ব্লকারের ভূমিকায় রাখার পরিকল্পনাও রয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। তবে সেটা নির্ভর করছে হেক্টরের ফিটনেসের উপর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.